সোনারগাঁয়ে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ, অস্ত্রধারী ১ জন আটক
নিজস্ব সংবাদদাতা, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :
সোনারগাঁ উপজেলার ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকার প্রার্থী হুমায়ুন মেম্বার সমর্থকদের সাথে লাঙ্গলের সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
খবর পেয়ে নারায়নগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) গোলাম মোস্তফা মুন্না ও সোনারগাঁ থানার ওসি হাফিজুর ইসলাম পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৮/১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। পরে অস্ত্রধারী যুবক পারভেজকে এলাকাবাসী আটক করে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেছে। এসময় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি গাড়ীও ভাংচুর করা হয়।
এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে জামপুর ইউনিয়নে জাতীয়পার্টির সমর্থিত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল আলম মাকসুদ ভুইয়া তার নেতাকর্মী নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনায় বের হোন। বস্তল এলাকায় আসলে নৌকার সমর্থিত নেতাকর্মীরা মাকসুদের গাড়ীর পথরোধ করে এলোপাতালি পিটিয়ে তার নেতাকর্মীদের আহত করে। এসময় নৌকার সমর্থিত নেতাকর্মীরা মাকসুদের গাড়ীসহ কয়েকটি গাড়ী ভাংচুর চালায়।
এ ঘটনায় অস্ত্রধারী পারভেজকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে নৌকার প্রার্থী হুমায়ন কবির জানান, আমি সাইদুর মার্কেটের সামনে গণসংযোগকালে একজন অস্ত্রধারী আমাকে পিস্তল তাক করে গুলি করার সময় এলাকাবাসী দেখে ফেলে। তাকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। অপরদিকে বস্তল এলাকায় আমার নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে মাকসুদের বহিরাগত সন্ত্রসাীরা গুলি বর্ষণ করে।
সংঘর্ষের ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি হাফিজুর ইসলাম জানান, দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৮/১০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। অস্ত্রধারী পারভেজকে মুমুর্ষ অবস্থায় আটক করা হয়েছে।
এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ অঞ্চল) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, দুই প্রার্থীর নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। জামপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।