নির্বাচনে কোথাও কোনো হস্তক্ষেপ করিনি : শামীম ওসমান
নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান সদ্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় পক্ষের ব্যাঘাত সৃষ্টির চেষ্টার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, নির্বাচন ছাড়াই কয়টি ইউনিয়নে আলোচনার মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে এ বছর সুষ্ঠ নির্বাচন হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে আমি দেশের বাহিরে ছিলাম। দেশের বাহিরে থেকে আমার খুব একটা খবর নেওয়ার সুযোগ হয়নি। কোথাও কোনো হস্তক্ষেপও আমি করিনি।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে ফেরার চারদিন পর নির্বাচন ছিল। প্রথম দুই-একদিনের মধ্যে আমি যেটুকু খবর নিতে পেরেছি। রাজনীতিবিদদের এখন সবাই জ্ঞান দিতে চায়। বিভিন্ন সেক্টরের মানুষ রাজনীতিবিদদের জ্ঞান দিতে যায়। অংক বুঝাতে চায়।
আমরা যারা হাইব্রিড না, সত্যিকারের রাজনীতি করি। উপর থেকে এসে ঠাস করে পড়িনি। আমি মাটির গন্ধ বুঝতে পারি কি হবে, কিভাবে হবে, কার অবস্থান কি বুঝতে পারি। বুঝতে পারি বিধায় নির্বাচনের দুই দিন আগে প্রেস ব্রিফিং করেছিলাম।
শামীম ওসমান বলেন, আমাদের কাছে যে সঠিক তথ্য ছিল, তার প্রমান আমরা গত নির্বাচনে পেয়েছি। একটি মহল এমন ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেছিল যেন বন্দর ও সদর উপজেলায় আমরা প্রশ্নবিদ্ধ হই। লাশ পড়ে। লাশের সুযোগ নিয়ে নির্বাচনের সাথে জড়িত নয় এমন একটি পক্ষ তাদের ভবিষ্যৎ নির্বাচনের হিসাব-নিকাশ মেলানোর চেষ্টা করছিল।
তিনি আরো বলেন, রাজনীতি যারা নিজের জন্য করে তাদের মতো নিম্নমানের মানুষ আর নাই৷ যারা মানুষের জন্য রাজনীতি করে তারা উঁচু মানের মানুষ। কিছুদিন পূর্বে আমার পরিবারের কবরের উপর নোংরা ভাবে শ্মশানের মাটি দেয়া হয়েছিল। বিষয়টি আমি এখনো মেনে নিতে পারছি না।
এ কাজ যারা করেছে, তারা মানুষের শত্রু, ধর্মের শত্রু, মানবতার শত্রু। এই কাজ যারা করে তারা ইবলিশের কর্মী। এ কষ্টটা আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মেনে নিতে পারব না। আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ। ১০ তারিখে আমার একটা মেডিকেল বোর্ড বসেছিল। ১১ জুন বাংলাদেশের সেরা ডাক্তার আমাকে পিজিতে দেখেছে। অনেক টেষ্ট দিয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো রোগ নির্ধারিত করতে পারেননি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু চন্দনশীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, সদর উপজেলার ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাইফউল্লাহ বাদল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তবলী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান শওকত আলী, কুতুবপুরে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ফজর আলী, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহমেদ, মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাকসুদ, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, বারদী ইউনিয়ন পরিষদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল, কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, সানমন্দি ইউনিয়ন পরিষদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জেলা শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক আব্দুল কাদির, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভুঁইয়া সাজনু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, মহানগর কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান লিটনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নবনির্বাচিত মেম্বারবৃন্দসহ প্রমুখ।