শীত আসলেই দেখা যায় ওরস ও পালা গানের নামে রাতভর গান বাজনা। সাথে কোথাও বসে গাঁজা আসর। ওরস ও গানের পালাকে কেন্দ্র করে ওইস্থানে বসে মেলা যা চলে দিন থেকে সারারাত পর্যন্ত। ওরস আর গানের পালা উপলক্ষে পুরো এলাকা জুড়ে লাগানো হয় মাইকসহ বিভিন্ন ধরনের সাউন্স সিস্টেম। যারা আয়োজন করেন তাদের উদ্দেশ্যই যেন এলাকাবাসীর ঘুম হারাম করা। তারা সমাজে এমন শক্তিশালী তাদের বলারও কেউ নেই। অনেক সময় প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেও ব্যর্থ হোন। অবশেষে সব মেনে নিজের ঘুম হারাম করে রাতভর বিছানায় এপাশ ওপাস করে কাটাতে হয় এলাকাবাসীকে। সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়েন অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশুরা।
গতকাল শনিবার গভীর রাতে এমনই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি ওরসে অভিযান চালান সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেখান থেকে আটক করেন একজনকে এবং সাউন্ড সিস্টেমের সকল মালামালও জব্দ করে ওরস বন্ধ করে দেন।
স্থানীয়রা জানান, মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামের সাকোয়াত ও সামসুল ইসলাম নামের দুই ব্যক্তি ওরস মোবারকের আয়োজন করেন। ওরসের নামে দুইদিন ব্যাপী গান বাজনা চলে সারারাত পর্যন্ত। তাদের গান বাজনার কারণে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ ঘুমাতে বেঘাত ঘটে। এছাড়া ওরসের নামে বসে গাঁজার আসর ও মাদকসেবীদের মিলন মেলা। এলাকার স্থানীয় মাদক সেবীরা তাদের সঙ্গে এরকম ওরস প্রতি বছরই আয়োজন করে থাকেন। এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা গানবাজনা সারারাত না করার জন্য অনুরোধ জানালেও তারা তাদের কথায় কর্ণপাত করেননি আয়োজকরা।। অবশেষে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওরসে অভিযান চালিয়ে শাহীন নামের এক মাদক সেবীকে আটক করেন ও গানবাজনার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে যায়।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুর ইসলাম জানান, সরকারী নির্দেশনা ছাড়া ও জনগনের নাগরিক সুবিধার ব্যাঘাত ঘটিয়ে কোথায় কোন ওরস ও গান বাজনা করতে দেয়া হবে না। কোথায়ও যদি এরকম কোন বেআইনী ওরস ও গানবাজনার আয়োজন করা হলে স্থানীয়রা আমাদের জানালে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন।