‘ব্যবসায়ী অপহরণ’ নিয়ে যা বললেন চেয়ারম্যান মোশারফ
নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :
‘শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে আছে, তাদের সামনেই বাকবিতন্ডা হয়েছে। অথচ, অভিযোগ উঠলো মিথ্যা অপহরণের চেষ্টা। আমার প্রশ্ন, এত মানুষের সামনে কী ভাবে অপহরণ হয়?’
বলছিলেন সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর। তাঁর ভাষ্য, ‘আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমার সুনাম নস্টের জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ওই চক্রটি’।
কাচঁপুরে নূর হোসেন নামের এক ব্যক্তির ২ কাঠার একটি জমি রয়েছে। ওই জমির পাশেই মোশারফ হোসেন স্কুল এন্ড কলেজের জমি। নুর হোসেনরা তাদের জমি ড্রেজার দিয়ে ভরাট করতে গিয়ে ওই স্কুলের বিভিন্ন ক্লাশে রুমের যেমন ক্ষতি করেছে (স্কুল ভবনের কয়েকটি রুমের দেয়াল ফেটে গেছে), সেই সাথে একটি পুকুরের অংশও বালি গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর জানান, ‘সম্প্রতি আমার জমি থেকে মাটি কাটা হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ী নূর হোসেন একটি মহলের ইন্ধনে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন, তাঁর জমিতে মাটি কেটেছি। গত ১৩ অক্টোবর বিকালে নূর হোসেনের সাথে রাস্তায় দেখা হলে, গাড়ি থেকে নেমে মিথ্যা বলার কারণ জিজ্ঞাসা করি। সে দাবি করছিলেন, তাঁর জমি থেকেই মাটি কাটা হয়েছে। তখন আমি তাকে আমার সাথে গিয়ে জমি পুনরায় মাপ দেওয়ার কথা বলছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে দেখলাম, সেটাকেই ফিল্মি কায়দায় অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ তোলা হয়েছে, আবার মানববন্ধনও করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি তাকে বললাম, চলেন, জমিতে যাই, দেখান, কোথায় কতটুকু কার জায়গা আছে। আর মাটিতো আমার জমির অংশে কাটা হইছে। আসেন, দুই জনে এক সাথে জমিতে যাই। যা সঠিক, যা ন্যায্য তাই হবে। ওনি তখন যেতে চাচ্ছেন না। আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরে যাচ্ছেন’।
চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে আমার অনেক প্রতিপক্ষ রয়েছে। তেমনই একটি পক্ষ হচ্ছে ৭ খুন মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী নূর হোসেনের শ্যালক মাহবুব খান ও নূরে আলম খান। তাদের মধ্যে নূরে আলম খান অস্ত্র মামলার আসামী, কুতুবপুরের ইসমাইল হত্যা মামলার আসামী। তারা ও তাদের লোক এবার এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী। তারাই মূলত এ বিষয় গুলোকে বানিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করছে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করছে। মানববন্ধন করাচ্ছে।
চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর আরও বলেন, আমি কাচঁপুর ইউনিয়নে যে কাজ করেছি, এ কাজ যদি আমার নেত্রী দেখে, তাহলে অবশ্যই আমার নেত্রী মনোনয়ন দিবে। তারা সেই সুনামকে নষ্ট করতে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে এ কাজ গুলো করছে। তাদের কোন ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না। সত্যের জয় সব সময়। প্রশাসনও তদন্ত করছে, সত্যিটা আপনারা সবাই নিজ চোখে দেখে যান।