নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতে শক্ত বলয় তৈরী করলেও এবার ব্যাকফুটে চলে গেছেন সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ। গতকাল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলম আলমগীরের সাথে জেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. তৈমুর আলম খন্দকারের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাতের পর এমন আলোচনাই চলছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে।
জানা গেছে, জেলা বিএনপির ১০টি ইউনিট কমিটি গঠনের কার্যক্রমে বিভিন্ন ইউনিটের পদপদবী নিয়ে মামুন মাহমুদের সাথে মতবিরোধ সৃষ্টি হয় তৈমূর আলম খন্দকারের। অভিযোগ উঠে, অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বিতর্কিত ও অযোগ্যদের পদায়ন করতে চাইছেন সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ। এক্ষেত্রে বাধ সাধেন তৈমূর। কিন্তু মামুন মাহমুদ বৃহৎ একটি সিন্ডিকেটের সাথে সখ্যতা গড়ে তার সিদ্ধান্তে অটল থাকতে চাইছিলেন। কিন্তু তৈমুর আলম খন্দকারও তার নীতিতে ছিলেন অটল।
তবে, মামুন মাহমুদ এযাবৎ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সালাম ও বাবুলের দোহাই দিয়ে খসড়া কমিটিতে তৈমূরের স্বাক্ষর নিতে চাইছিলেন মামুন মাহমুদ। এরই মধ্যে গতকাল বিকেলে ঢাকায় বিএনপির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেন তৈমুর আলম খন্দকার। ওই বৈঠকে মামুন মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন না।
জানা গেছে, বৈঠকে ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জেলা বিএনপির হালহকিকত সহ সদস্য সচিব মামুন মাহমুদের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও সমালোচনা মূলক কর্মকান্ডগুলো তুলে ধরেন। এর প্রেক্ষিতে নীতিতে অটল থেকে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের দায়িত্বে আনার জন্য নির্দেশনা দেন তৈমুর। এক্ষেত্রে মামুন মাহমুদের তদবীর কেন্দ্রে ধোপে টিকবে না বলে মনে করছেন দলটির নেতৃবৃন্দরা।
জানতে চাইলে বৈঠকের বিষয় স্বীকার করে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘এমন কোন ব্যক্তির পক্ষে আমি স্বাক্ষর করবো না, যার দলে অবদান নেই। যারা সরকারী দলের সাথে খাতির করে, তাদের কোন কাগজে আমি সই করবো না। রাজপথের আন্দোলনে যাদের অবদান আছে, দল করতে গিয়ে যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তাদেরকেই যেন কমিটিতে আনা হয় সেই নির্দেশনা দিয়েছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আমিও এতে একমত যে, দলের জন্য যাদের ত্যাগ আছে, তাদের মাধ্যমেই কমিটি করা হবে।’
বিএনপির বিভিন্ন সূত্র বলছে, যেহেতেু মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে তৈমুরের একক বৈঠক হয়েছে, সেহেতু মামুন মাহমুদ কেন্দ্রের দোহাই দিয়ে পার পাবেন না। এতে করে তিনি যেই বিতর্কিত ও নিষ্ক্রিয়দের কমিটিতে আনতে চেয়ে ছিলেন, শেষতক সেই বাসনাও হয়তো পুরণ হবে না।