চমক নাকি ষড়যন্ত্র! থানা আ’লীগের চূড়ান্ত কমিটির তালিকা প্রকাশ; মিশ্র প্রতিক্রিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৪ জুলাই রাতে দলীয় প্যাডে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল স্বাক্ষরিত এ পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল সোনারগাঁজুড়ে।
জানাযায়, গত বুধবার এই তালিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। দলের অনেক ‘পরীক্ষিত’ নেতা বাদ পড়ায় এবং অপরিচিত মুখ এই কমিটিতে ঢুকে পরায় এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছেন সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল ইসলাম ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সার।
এদিকে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা পর এই কমিটিকে স্বাগত জানিয়েছেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী এ এইচ এম মাসুদ দুলাল ও এরাফন হোসেন দ্বীপ।
আবার আরেক নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী মাহফুজুর রহমান কালামের সমর্থক গোষ্ঠী তাদের ফেইজবুক ওয়ালে এই কমিটিকে রাজনৈতিক চমক উল্লেখ করে সামনে আবার মনোনয়ন চমক দেখার ইঙ্গিত করেছন।
অপরদিকে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট প্রস্তাবিত কমিটি থেকে ১৯ জন সদস্যকে বাদ দিয়ে ও বেশ কিছু পদ-পদবি পরিবর্তন করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটির অনুমোদনকে ষড়যন্ত্র মনে করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমের সমর্থকরা।
পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আল আমিন বলেন, সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে একেরপর এক চমক দেখিয়ে যাওয়া সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের কান্ডারী ও বার বার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান তরুন মুখ ইঞ্জিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমের রাজনৈতিক উত্থানে অনেকের ঝলে, তাই পিরোজপুর ইউনিয়নের বড় বড় আওয়ামীলীগ নেতাদের নাম ষড়যন্ত্রকারীরা কৌশলে চূড়ান্ত কমিটি থেকে বাদ করেছে। জননন্দিত নেতা ও মানবতার ফেরিওয়ালা ইঞ্জিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম ভাই হজ্জে থাকায় তারা এই ষড়যন্ত্র করতে পারছে। আমরা এর তিব্র নিন্দা জানাই।
কমিটি নিয়ে সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সার বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি আমরা মানি না। আমাদের সঙ্গে কোনো ধরনের পরামর্শ না করেই জেলা আওয়ামী লীগ এ কমিটির অনুমোদন দিয়েছে। যাদের কেউ চেনে না এমন অনেক ব্যক্তিকে কমিটিতে আনা হয়েছে। এ বিতর্কিত কমিটির অভিযোগ নিয়ে প্রয়োজনে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে যাব।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল বলেন, আমরা যাচাই বাছাই করে দেখেছি, দলের নাম ভাঙ্গিয়ে নানা অপকর্মের সাথে জড়িতদের এবং আত্ম স্বীকৃত খুনিদের নাম বাদ দিয়েছি কমিটি থেকে ও নতুনদের সংযোজন করেছি। এই চূড়ান্ত কমিটিতে আর কোন সংযোজন ও বিয়োজন সম্ভব নয়। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কিছু করতে চাইলে সেটা অন্য বিষয়।