বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু বলতে কোন শব্দ থাকবে না। সবাই এদেশের নাগরিক। সবাই রাষ্ট্রের সমান সুযোগ- সুবিধা ভোগ করবে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণসংযোগ করার সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও এডুকেশন সোসাইটির পরিচালক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত নারায়ণগঞ্জ- ৩ (সোনারগাঁ – সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী প্রিন্সিপাল ড.মো. ইকবাল হোসাইন ভূইয়া এসব কথা বলেন।
শুক্রবার ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে সোনারগাঁ পৌরসভা আদমপুর বাজার থেকে নিদর্বাচনী গণসংযোগ কালে ৩টি পুজা মন্ডল পরিদর্শন কালে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে কুশল বিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।
প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূইয়া আরো বলেন, দেশের মানুষ বুঝে গেছে— কাদের হাতে দেশ ও দেশের সকল ধর্মের মানুষ নিরাপদ।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর সোনারগাঁয়ের তৎকালীন ওসি ও উপজেলা কর্মকর্তা (ইউএনও) সোনারগাঁয়ের ৩৬ টি পূজা মন্ডপ ও মন্দিরের নিরাপত্তার জন্য আমার কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলেন। আমি স্পষ্ট করে বলেছি, পূজা মন্ডপ ও মন্দিরের নিরাপত্তার জন্য অন্য কোন দল, অন্য কোন ব্যক্তির সহযোগিতার প্রয়োজন নাই। তারা আমাদের ভাই বোন, তারা এদেশের নাগরিক। তাদের পূজা মন্ডপ ও মন্দির সম্পূর্ণ অক্ষত থাকবে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু বলে কোন শব্দ থাকবে না। সবাই এদেশের নাগরিক। সবাই রাষ্ট্রের সমান সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে। সমান অধিকার পাবে।
আপনারা জানেন কারা গত ৫৪ বছর ধরে সনাতন ধর্মালম্বীদের বাড়ি ঘরে ও মন্দিরে হামলা চালিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা কোনদিন এ ধরনের কাজের সাথে জড়িত ছিল না।
পৌরসভার হিন্দু সম্প্রদায়ের আমিনপুর সার্বজনী পুজা মন্ডব, ঋষিপাড়া পুজা মন্ডল, ও সোনারগাঁ গৌর নিতাই পুজা মন্ডব পরিদর্শন করে তাদের সাথে কুশল বিনিময় করে ও বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন।
তিনি আরো বলেন, সোনারগাঁয়ের কোন নাগরিকের উপর অন্যায়ভাবে জুলুম ও অত্যাচার করা হলে দাতভাংগা জবাব দেয়া হবে। স্বৈরাচারী কায়দায় ভোট কেন্দ্র দখল করার কোন সুযোগ দেয়া হবে না।
আল কুরআনের সমাজ ও রাষ্ট্র কায়েমের জন্য প্রতিটি মুহূর্তকে মূল্যায়ন করতে হবে।আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ঈমানদারদের লক্ষ্য করে বলছেন, হে ঈমানদারগণ আল্লাহকে ভয় করার মত ভয় করো আর মুসলমান হওয়া ছাড়া মৃত্যু বরণ করো না।
যে ব্যক্তি জীবনে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, ব্যক্তি জীবনে, পারিবারিক জীবনে, সামাজিক জীবনে, রাজনৈতিক জীবনে,রাষ্ট্রীয় জীবনে ও আন্তর্জাতিক জীবনেও ইসলাম অনুসরণ করে তারাই প্রকৃত মুসলমান।
তাই আমরা যারা নিজেদের মুসলমান বলে দাবি করি জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত কুরআন ও হাদিসের আলোকে নেয়া ছাড়া মুসলমান হওয়া সম্ভব না। এবারের সংসদ নির্বাচন ঈমান ও ইসলামের সাথে জড়িত। কেউ যদি দশজনের ভোট একজনে দেয়ার স্বপ্ন দেখে, তাদের সেই স্বপ্ন কে দুঃস্বপ্নে পরিণত করা হবে। স্বৈরাচারী কায়দায় ভোট কেন্দ্র দখল করার কোন সুযোগ দেয়া হবে না।
গণসংযোগ কালে ড. ইকবাল হোসাইন ভূইয়া দাঁড়িপাল্লা মার্কার প্রচারনা চালায় ও সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করে বলেন আল কোরআনের দাওয়াত নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। আমরা আশা করছি, আগামীর বাংলাদেশ হবে আল কোরআনের বাংলাদেশ, আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ। সোনারগাঁওয়ে যত বড় প্রভাবশালী বা শক্তিধর ক্ষমতাধর ব্যক্তি থাকুন না কেন, সাধারণ মানুষের অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাধারণ মানুষের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ দক্ষিনের সেক্রেটারী আসাদুল ইসলাম মোল্লা পৌরসভার সহসভাপতি মেহেদী হাসান, উপজেরা কর্মপরিষদ সদস্য ডা. তোফাজ্জল হোসেন পৌরসভা সেক্রেটারী মাওলানা মো. হোসাইন পৌরসভা সহসেক্রেটারী সৌরভ হোসাইন, প্রচার সম্পাদক ইবনে ফাহাদ রনি জামায়াত নেতা ডা. হারুন অর রশিদ, রুবায়েত হাসান রাকিব ও মো. শামীম হোসেন।