নৌকা প্রতীক পেলেই কি চেয়ারম্যান ?
এমন এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিক মনিরুজ্জামান মনির তার ফেইসবুক স্টাটাসে লিখেছেন তার ভাবনার কথা।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাংবাদিক মনিরুজ্জামান মনিরের ফেইসবুকের এই স্টাটাসে লাইক ৩২৬, কমেন্ট ৯৫ ও শেয়ার সংখ্যা ৬৫ পরেছে।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে গত নির্বাচনে নির্বাচিত অধিকাংশ চেয়ারম্যানদের সাম্প্রতিক সময়ের উক্তি, বক্তব্য, দ্বিমুখি আচরন সাধারন মানুষের সঙ্গে দুরত্ব সহ নানা কর্মকান্ড সাধারন মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে।
জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত এসব জনপ্রতিনিধিরা হয়তো ভাবছেন নৌকার মনোনয়ন পেলেই পুনরায় চেয়ারম্যান হয়ে যাবেন।
পাঠকদের মনে করিয়ে দিতে চাই গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকে নির্বাচন করে বৈদ্যোরবাজার ও শম্ভুপুরা ইউনিয়নের দুই প্রার্থী তৃতীয় হয়েছিল। এর মধ্যে একজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল।
নোয়াগাঁও ইউনিয়নেও নৌকা পরাজিত হয়েছিল।
গত নির্বাচনের মতো এবারও প্রতিটি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র বিক্রি উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
যে সব চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নারায়ণগঞ্জ শহরের শক্তি নিয়ে প্রতীক ছিনিয়ে এনে রাতের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তাদের স্বপ্ন দু:স্বপ্নে পরিনত হবে এ বছর।
প্রতিটি ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে সাধারন মানুষ ক্ষমতাসীন দলের তৃনমূলের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি মানুষের মনের কথা।
আগামী নির্বাচনে ভোটাররা প্রতীক নয়, যোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নেবে।
সোনারগাঁয়ে রাতের বেলা কাউকে সিল মারিয়া ব্যালট বাক্সে ভর্তি করতে দেবেনা জনগন।
আর দিনের বেলা পেশি শক্তি প্রয়োগ করলে, তা প্রতিরোধে থাকবে সাধারন জনগন।
উন্নয়নের পাশাপাশি সাধারন মানুষ চায় সুশাসন। সুশাসন থেকে অনেক দুরে অধিকাংশ চেয়ারম্যান, ভোগ বিলাসিতায় পরিপূর্ন, অনেক চেয়ারম্যান শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে নেমে সাধারন মানুষের সঙ্গে হাত কিংবা বুক মিলাতে দেখা যায়নি পুরো পাচঁ বছরের মধ্যে একটি দিনও নয়।
ক্ষমতা লোভী কতিপয় চেয়ারম্যান নিজেদের রাজনৈতিক দলের নীতি আদর্শ ভুলে গিয়ে ক্ষমতার পিছনে ছুটেছেন পুরো মেয়াদকালীন সময়। নিজেদের দলকে সংগঠিত করতে পারেনি। বরং তাদের কর্মকান্ডের জন্য দলের ক্ষতিই বেশী হয়েছে।
আগামী নির্বাচনে তাদের দাত ভাংগা জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুুতি নিতে শুরু করেছে সাধারন জনগন।
তবে সোনারগাঁয়ের কয়েকটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা সাধারন জনগনের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন পুরো সময়। জনগনের সঙ্গে যুক্ত থাকা এসব চেয়ারম্যানদের ব্যাপারে মানুষের চিন্তাধারা পজিটিভ।