নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় মাদক নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের দুইজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের নয়াপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে মো. হান্নান উল্লেখ করেন, রাতে বাসায় আসার সময় আমার ছেলে দ্বীন ইসলামকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নয়াপুর পশ্চিমপাড়ার মৃত নান্নু মীরের ছেলেরা জয়নাল মীর, ইয়ানুছ মীর, ইসহাক মীর ও ইস্রাফিল মীরসহ আরও কয়েকজন তার ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে দ্বীন ইসলাম গুরুতর আহত হয়। পরে আমরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এখনও দ্বীন ইসলাম সেখানে ভর্তি রয়েছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী দ্বীন ইসলামের ছোট ভাই জহিরুল ইসলাম বলেন, নয়াপুর পশ্চিমপাড়ায় মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সেখানে নিরব জায়গা হওয়ায় প্রতিদিনই সন্ধ্যা হতে গভীর রাত পর্যন্ত মাদকের ক্রয়-বিক্রি ও নেশার আড্ডা চলে। আমার ভাই দ্বীন ইসলাম জয়নাল মীরদের সঙ্গে এ নিয়ে কয়েকবার তর্ক-বিতর্ক হয়। এরপর থেকেই তারা দ্বীন ইসলামকে হত্যার টার্গেট করে। এছাড়া আমার ভাই ঘোড়ার নির্বাচন করায় তার ওপর আরও ক্ষোপ বাড়ে তাদের। কারণ তারা আনারসের নির্বাচন করেছিল।
তিনি আরও বলেন, তারা দ্বীন ইসলামকে মারার সুযোগ খুঁজছিল। বৃহস্পতিবার রাতে একা পেয়ে অতর্কিতভাবে তার ওপর হামলা করে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে বিবাদী জয়নাল মীর বলেন, আমাদের বংশ-মর্যাদা সম্পর্কে এলাকার সবাই জানে। আমরা মাদকের সঙ্গে কোনো সময় জড়িত ছিলাম না। দ্বীন ইসলাম যে মাদক খায় এটা এলাকার সবাই জানে। মাদক খেয়ে ওইদিন রাতে সে আমার ভাইয়ের দোকানের সামনে এসে এলাকার ছেলেদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করে। একপর্যায়ে মারামারি হলে আমার ছোট ভাই সামান্য আহত হয়। পরে আমরা কয়েকজন তাকে ধরতে গেলে সে দৌঁড় দেয়। এরপর দ্বীন ইসলাম পরে গিয়ে রাস্তার খাম্বার মধ্যে আঘাত লেগে মাথা ফেটে যায়। তাকে আমরা কেনো মারবো। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে একটি পক্ষ আমাদেরকে ফাঁসাতে চাচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলামিন বলেন, আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত শুনি নাই। কেউ বলছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। আবার কেউ বলছে মাদক নিয়ে সংঘর্ষ লাগছে। তবে আমি বলেছি যাই হয়েছে দুই পক্ষকে নিয়ে সমাধান করে দিবো।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মজিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।