গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রোজা ও ঈদুল ফিতরের কারনে গত ২৩ দিন বন্ধ ছিল এবং ২১ এপ্রিল এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু দেশব্যাপী তীব্র তাপদাহের কারনে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবারো ২১ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
সরকারের এই সিদ্ধান্ত অনেক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা হয়তো অনেকেই জানতেন না। বিধায় বিভিন্ন স্কুলের কিছু কিছু শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়।এমনটাই ঘটেছে সোনারগাঁ খালেক আঞ্জুমান কিন্ডারকার্টেন স্কুলে।
সরেজমিনে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়ি মজলিশ এলাকায় অবস্থিত সোনারগাঁ খালেক আঞ্জুমান কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ৪১৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছে, তাদের মধ্যে কিছু শিক্ষার্থী সরকারের দেয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নতুন নোটিশের খবর জানতোনা বিধায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে উপস্থিত হয়।
এসময় খালেক আঞ্জুমান স্কুলের প্রধান ও অধ্যক্ষ কামাল মোল্লা শিক্ষার্থীদের স্কুল বন্ধের নতুন নোটিশ সম্পর্কে অবগত করেন এবং প্রত্যেকের কাছে নোটিশের কপি হাতে তুলে দেন। ঐ সময় কিছু সাংবাদিক এসে খালেক আঞ্জুমান স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছে স্কুলে আসার কারন জানতে চান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খালেক আঞ্জুমান স্কুল আজ থেকে খোলা হওয়ার কথা ছিল। তবে আজ ২১ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত আবারো বন্ধ।
এ বিষয়ে খালেক আঞ্জুমান স্কুলের প্রধান ও অধ্যক্ষ কামাল মোল্লা বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোনারগাঁও খালেক আঞ্জুমান কিন্ডারগার্টেন স্কুল ২১-২৬ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছি। কিছু শিক্ষার্থী নতুন ভাবে বন্ধের বিষয়টি জানতোনা। তাদেরকে নোটিশের মাধ্যমে বাসায় পাঠানো হয়েছে।
আমরা সবাইকে স্কুল বন্ধের নোটিশ সম্পর্কে অবগত করেছি।
সাংবাদিকদের প্রচারিত খবরের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, স্কুল শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের কাউকে বিনা কারনে স্কুলে উপস্থিত থাকার জন্য কোন রকম চাপ সৃষ্টি বা বাধ্য করা হয় না। সরকারি বিধিনিষেধ আছে এমন কোন কর্মকান্ড আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করিনা। সাংবাদিকরা সঠিক খবর লিখলে ভালো হতো।
সোনারগাঁও খালেক আঞ্জুমান স্কুল সব সময়ই সরকারের দেয়া নির্দেশ যথাযথ ভাবে পালন করে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।