জাতীয়

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ

ডেস্করিপোর্ট, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর আবারও রেকর্ড হয়েছে।দেশে একদিনে করোনাভাইরাসে সংক্রমণে গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে আজ শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত) মৃত্যু হয়েছে ২১২ জনের।

এ সময় ১১ হাজার ৩২৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল গত বুধবার ২০১ জন। আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩৬ হাজার ৫৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৫৪৩। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৪ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৬২ হাজার ৩৮৪ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৮ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে খুলনা বিভাগে। ঢাকা বিভাগে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। চট্টগ্রামে মারা গেছেন ২৬ জন এবং রাজশাহীতে ২৩ জন। বাকিরা অন্যান্য বিভাগের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্ত ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সেখানে বাংলাদেশে রোগী শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে। দেশে এ বছরের মার্চ থেকে নতুন করে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় টানা বিধিনিষেধ চলছে।

এবার করোনার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয় গত ঈদুল ফিতরের পরপরই। ভারত সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে রোগী দ্রুত বাড়তে থাকে। পরে তা আশপাশের জেলায়ও ছড়িয়ে পড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা, মৃত্যু ও শনাক্তের হার কয়েক গুণ বেড়েছে।

পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় ২২ জুন থেকে ঢাকাকে সারা দেশ থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেই প্রচেষ্টায় ঢাকার আশপাশের চারটি জেলাসহ মোট সাতটি জেলায় জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের চলাচল ও কার্যক্রম ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

তবে এরপরও করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ২৮ জুন থেকে সারা দেশে সব গণপরিবহন ও মার্কেট-শপিং মল বন্ধ করা হয়েছে। ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউন, বন্ধ রয়েছে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। সর্বাত্মক লকডাউন ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

Related Articles

Back to top button