নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় দোকানের বাকি টাকা চাওয়ায় সংঘর্ষে দুই পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছে। বুধবার (১২ জুন) বিকেলে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বেলাব গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।
জানা গেছে, বেলাব গ্রামের রফিক নামে একজনের মুদি দোকান রয়েছে। এ দোকান থেকে নূর নবী নামে একজন জুন মাসে ৪২০ টাকার পণ্য বাকি নেয়। পরে এ টাকা দোকানদার রফিক চাইলে নূর নবী বলে আপনি আমার থেকে কোনো টাকা পান না। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে অনেক তর্ক-বিতর্ক হয়। পরে বুধবার বিকেলে গ্রাম্যশালিস বসলে সিদ্ধান্ত হয়, নূর নবী তার টাকা দিয়ে দিবে। এছাড়া দুইজনের মধ্যে কোনো ঝগড়া যাতে ভবিষ্যতে না হয় এজন্য এক স্ট্যাম্পে উভয়পক্ষের স্বাক্ষর দিতে বলা হয়। এতে নূর নবী স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানালে গ্রাম্যশালিস ভেঙে যায়। এরপর উভয়পক্ষ রাত ৮টার দিকে আবারও ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এতে উভয়পক্ষের ৫ জন আহত হয়।
এ নিয়ে নূর নবী বলেন, খালি স্ট্যাম্পে সই দিতে বললে আমি দেয়নি। তবে টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না।
এ নিয়ে দোকানদার রফিকের মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দেওয়া হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে গ্রাম্য মাতাব্বর মো. আলম বলেন, আমি শুনেছি দোকানের ৪২০ টাকা নিয়ে নাকি দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এ নিয়ে নাকি থানায় অভিযোগও হয়েছে। এজন্য আমি সমাধান করার জন্য তাদের নিয়ে বুধবার বিকেলে এলাকায় বিচার বসি। পরে উভয় পক্ষের কথা শুনে আমি নূর নবীকে টাকা দিয়ে দিতে বলি। তারপর সে টাকা দিয়ে দেয়। এরপর ভষ্যিতে ঝগড়া না হওয়ার শর্তে উভয়পক্ষকে ১ লাখ টাকার মুচলেখায় স্ট্যাম্পে সই দিতে বললে নূর নবী দিবে না অস্বীকৃতি জানালে বিচার ভেঙে যায়। পরে আমরা সেখান থেকে চলে আসি।
তিনি আরও বলেন, বিচারের পরে কে বা কারা রাতে হামলা করেছে এটা আমি জানি না। তবে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নূর নবীর মাই রফিকের ওপর হামলা করেছে।
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, শুনেছি তাদের দুইজনের মধ্যে সামান্য টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়েছে। কমিটির ক্যাশিয়ার নূর নবী মসজিদের টাকা দিয়ে সুদের ব্যবসা করে কিনা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, মসজিদের ফান্ডে কোনো টাকা নেই, কিভাবে তিনি সুদের ব্যবসা করবেন। আগের কমিটিতে সে ক্যাশিয়ার ছিল, এখন নতুন কমিটি করা হবে বলেন তিনি।
এ নিয়ে তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি পক্ষ অভিযোগ দিয়েছে। আমি শুনেছি নাকি আরেক পক্ষ অভিযোগ করবে। তবে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।