প্রয়োজনে মুনিয়ার পরিবারকে আইনি সহায়তা দেব, এডভোকেট মো: ফিরোজে মিয়া
মো: মাজেদ ভূঁইয়া, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :
গুলশানের একটি অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে কলেজ ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার পরিবার চাইলে আইনি সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগন্জ বারের গরীবের উকিল নামে খ্যাত এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়া। বুধবার (২৮ এপ্রিল,২১ইং) তারিখে এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়া অনলাইন নিউজ পোর্টাল সোনারগাঁ টাইমর্স২৪. কম কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘মুনিয়ার বাবা-মা কেউ পৃথিবীতে বেঁচে নেই এবং মুনিয়া একজন বীর মুক্তিযাদ্ধার সন্তান। এই এতিম মেয়ের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রয়োজনে আমি মুনিয়ার পক্ষে দাঁড়াবো এবং তার পরিবারের পাশে থেকে আইনি সহায়তা দিব।
এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়া বাংলাদেশের মানীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটাই আবেদন করে বলেন-অপরাধী যে কেউ হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে। আদালতের মাধ্যমে জনগনকে ন্যায় বিচার দিতে হবে। আমার বিশ্বাস জনগণের যে প্রত্যাশা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি তাহা বাস্তবায়ন করবেন। এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়া তিনি খুব আক্ষেপ করে বলেন-কতো আলোচিত বিষয়ে ঘন্টায় পর ঘন্টায় নিউজ আপডেট দিতো ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের News-24 টিভি চ্যানেল, the daily sun, বাংলাদেশ প্রতিদিন, কালের কণ্ঠ, নিউজ২৪ বিডি ও রেডিও ক্যাপিটাল।
কিন্তু বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের ঘটনায় তার নিজস্ব মালিকানা সংবাদ মাধ্যম News-24 টিভি চ্যানেল, the daily sun, বাংলাদেশ প্রতিদিন, কালের কণ্ঠ, নিউজ২৪ বিডি, রেডিও ক্যাপিটাল চুপ কেন?
এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়া আরো বলেন- অপরাধী যতই শক্তিশালী ব্যাক্তি বা কোম্পানী হোক না কেন তাদের যাতে ছাড় দেওয়া না হয়। এছাড়া, বিভিন্ন মিডিয়ায় মুনিয়া ভিকটিম হওয়া সত্ত্বেও তার ছবি প্রকাশ করা হলেও আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের ছবি প্রকাশ না করায় তীর্ব নিন্দা জানান নারায়ণগন্জ জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের এই আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাটে থেকে মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া বাদী হয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সায়েম সোবহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুনিয়ার। মাসে এক লাখ টাকা ভাড়ার ওই ফ্ল্যাটে মুনিয়াকে রেখেছিল সায়েম সোবহান। সে নিয়মিত ওই বাসায় যাতায়াত করতো। তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো করে থাকতো। মুনিয়ার বোন অভিযোগ করেছেন, তার বোনকে বিয়ের কথা বলে ওই ফ্ল্যাটে রেখেছিল আনভীর। একটি ছবি ফেসবুকে দেওয়াকে কেন্দ্র করে সায়েম সোবহান তার বোনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। তাদের মনে হচ্ছে, মুনিয়া আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এর বিচার চান তারা।