সোনারগাঁ উপজেলার সোনারগাঁও পৌরসভা, বৈদ্যেরবাজার, মোগরাপাড়া, পিরোজপুর ও সনমান্দী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গত ১৩ জুলাই শনিবার পাগলা কুকুরের কামড়ে প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী ও হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সোনারগাঁও পৌরসভা, বৈদ্যেরবাজার, মোগরাপাড়া, পিরোজপুর ও সনমান্দী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ জান মানুষ পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত হয়। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন প্রয়াত চিত্র নায়িকা পারভিন সুলতানা দিতির বড় বোন সোনারগাঁও পৌরসভা দিয়াপাড়া গ্রামের আফরিন সুলতানা মঞ্জু (৭০), বাড়িশ্রীরামপুর গ্রামের হারুন-অর-রশিদ (৬৫), একই গ্রামের মৃত এছুর বৌ বাছিরুন (৯৫), গোপাল বাবুর মেয়ের জামাই সুমন (৪০), দত্তপাড়া গ্রামের আবুল কাশেম মাস্টারের বৌ ফাতেমা আক্তার (৪০), একই গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ মিজানুর রহমানের মা মরিয়ম বেগম (৬৫), বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হাড়িয়া চৌধুরীপাড়া গ্রামের ডলি (৩৫), একই গ্রামের কামালে ছেলে-(১০), হাড়িয়া বৈদ্যপাড়া গ্রামের চাঁন বাদশার ছেলে-(১২) প্রমুখ।
পাগলা কুকুর আহতদের মুখে, পিঠে, হাতে, পায়ে ও বগলতলায় কামড়িয়ে আহত করে। আহতদের সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মহাখালী সংক্রমনব্যাধী হাসপাতালে প্রেরণ করে।
সোনারগাঁ সরকারী হাসপাতালের উপ-সহকারী চিকিৎসক নাছিমা খাতুন জানান, কুকুরের কামড়ে আহত প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ জনকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। তারাহুরা করে অনেকে রোগী নিয়ে চলে যাওয়ায় সবার নাম এন্ট্রি করা সম্ভব হয়নি। এদিকে এই রিপোর্ট লেখার সময় হাসপাতালে রাতের ডিউটিতে কর্মরত অপর উপ-সহকারী চিকিৎসক রাজু আহাম্মেদ জানান, কুকুরের কামড়ে আহত ৩০ জন রোগীর নাম হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে তালিকাভূক্ত হয়েছে।
ভট্রপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সোনারগাঁ এলাকার ক্রিড়া ব্যাক্তিত্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, বহু বছর যাবৎ সরকারী ভাবে সোনারগাঁয়ে কুকুরের ভ্যাকসিন না দেয়ায় এবং বেওয়ারীশ কুকুর নিধন না করায় আমরা আমাদের শিশুদের নিয়ে চিন্তিত। প্রশাসনের উচিৎ যত দ্রুত সম্ভব বেওয়ারীশ কুকুর গুলো ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা।