মূর্খদের নেতৃত্ব থেকে সোনারগাঁবাসীকে বাচাতে এখনই উচিত মাঠে নামা -আই এইচ ভূঁইয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :
সেই আদিকাল থেকেই নেতৃত্ব নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা চলে আসছে। সে প্রতিযোগিতা কখনো অহিংস আবার কখনো সহিংসতার রূপ লাভ করেছিল। সমাজবদ্ধ মানুষের এই সামজ পরিচালনার জন্য সব সময়ই কিছু মানুষকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য নির্ধারন করা হয়।
নেতা আর নেতৃত্ব বর্তমানে এমন এক পর্যায়ে পৌছেছে যে, অযোগ্য লোকেরাই এখন নেতৃত্বের সকল গুরুত্বপূর্ণ আসন দখল করে আছে। তাদের প্রতাপে যোগ্য লোকেরা আজ নির্বিকায়। সম্পদ আর ক্ষমতার দাপটে তারাই আজ সর্বনিয়ন্তা। রাসুল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ বিষয়ে ভবিষ্যৎবাণী করে গিয়েছিলেন।
মূর্খ লোকদের নেতৃত্ব দান সম্পর্কে হাদিসের বর্ণনা : সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব মূর্খ লোকদের হাতে চলে যাওয়া ক্বিয়ামতের অন্যতম আলামত। নবী করীম (ছাঃ) কা‘ব বিন ঊজরাকে বলেন,
أَعَاذَكَ اللهُ مِنْ إِمَارَةِ السُّفَهَاءِ قَالَ : مَا إِمَارَةُ السُّفَهَاءِ قَالَ :أُمَرَاءُ يَكُونُونَ بَعْدِى لاَ يَقْتَدُونَ بِهَدْيِى وَلاَ يَسْتَنُّونَ بِسُنَّتِى فَمَنْ صَدَّقَهُمْ بِكَذِبِهِمْ وَأَعَانَهُمْ عَلَى ظُلْمِهِمْ فَأُولَئِكَ لَيْسُوا مِنِّى وَلَسْتُ مِنْهُمْ-
‘আমি তোমার জন্য আল্লাহর নিকট মূর্খদের নেতৃত্ব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (হাকেম হা/২৬৪; আহমাদ হা/১৪১৮১; ইবনু হিববান হা/৪৫১৪; ছহীহ আত-তারগীব হা/২২৪২।)
তাই সোনারগাঁ বাসীর বোধদয় হওয়া উচিৎ, পরবর্তী নেতৃত্ব কাদের হাতে দেবে। সাইন করতে দিলে কলম বাঁকা হয়ে যায়! কোথায় সাইন করবো জিজ্ঞেস করতে হয়! তারাই কি হবে আগামী পার্লামেন্টের আইন প্রণেতা। সংবিধান পড়ে দিতে হয় অন্য কেউ। এমন নেতাই কি চাই আমরা সোনারগাঁবাসী? নাকি পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।
ক্বিয়ামতের অন্যতম আলামত মূর্খদের নেতৃত্ব থেকে সোনারগাঁবাসীকে বাচাতে রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের এখনই উচিত সব তথ্য উপাত্ত (ছবিসহ) মাঠে নামা সিরিয়াসলি। তাহলে বিএনপি ওয়ালাদের কিছু হুঁশ হবে। মূর্খ নেতৃত্বের অভিশাপ থেকে সোনারগাঁবাসী মুক্তি পাবে।
তবেই উচ্চশিক্ষিত মানুষগুলো সামাজিক দায়দায়িত্ব নিতে আগ্রহী হবে, উন্নত হবে সমাজব্যবস্থা, পরিবর্তন হবে সমাজের মানুষের মানসিকতার। সোনালি বাতাস বইবে সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে, সংসদ ভবনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে সোনারগাঁবাসীর জনপ্রতিনিধি।
কিন্তু জাতি হিসেবে আমরা খুবই আত্নভোলা। কিছুক্ষণ পরেই সব ভুলে যাই। এর মূল কারণ পড়াশোনা না জানা বা অজ্ঞতা। এজায়গা থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে সমাজের সর্বস্তরের নাগরিক কে যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে।
প্রতি মহল্লায় মহল্লায় মানসম্মত ইন্সটিটিউশন গড়ে তুলতে হবে। যে ইন্সটিটিউশনগুলো দুনিয়া ও একই সাথে আখেরাতমুখী ধ্যান-ধারণার মানবসম্পদ তৈরি করবে।
কেবল শুধু তখনই এই মূর্খ নেতৃত্বের অভিশাপ থেকে আমরা মুক্তি পাবো। তবেই উচ্চশিক্ষিত মানুষগুলো সামাজিক দায়দায়িত্ব নিতে আগ্রহী হবে, উন্নত হবে সমাজব্যবস্থা, পরিবর্তন হবে সমাজের মানুষের মানসিকতার। সোনালি বাতাস বইবে সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে, রাস্ট্র মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে দুনিয়ার বুকে।