বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজাঁনোর কারণে রগ কেটে দেয়ার অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে
নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ বাজাঁনোর কারণে জাতীয় পার্টির এক নেতার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, রক্তাক্ত জখম ও হাতের রগ কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ সময় জাতীয় পার্টির এক নেতার সহধর্মিণীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার পঙ্গু পাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সোনারগাঁও উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নে ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় শম্ভুপুরা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম রনি বাদী হয়ে সিরাজুল ইসলাম টিটু মোল্লা, জন্টু মোল্লা, সেন্টু মোল্লা, সবুজ মোল্লা, রিফাতসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, বিজয় দিবস ও বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের নির্দেশে জাতীয় পার্টির নেতা জাহাঙ্গীর আলম রনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাষণ মাইকিং করে এলাকায় বাঁজানোর জন্য গ্রাম পুলিশ সিরাজকে দায়িত্ব দেন। ইউনিয়ন পরিষদের সামনেও বঙ্গবন্ধুর ভাষণ মাইকিং করে বাঁজানো হয়। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ জাতীয়পার্টির নেতারা বাঁজাতে পারবেনা বলে দাবি তুলে সকাল ৯টায় যুবলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম টিটু মোল্লাসহ তার বাহিনীর লোকজর পরিষদের সামনে এসে মাইকিং করে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাঁজাতে বাধা দেয়। ওই সময় জাহাঙ্গীর আলম রনিকে সন্ত্রাসীরা মারধর করে হুমকি ধমকি দিয়ে চলে যায়।
পরে, সেদিন সকাল সোয়া ৯টায় জাহাঙ্গীর আলম রনির বাড়িতে সিরাজুল ইসলাম টিটু মোল্লাসহ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্রেসজ্জে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ সময় জাতীয় পার্টির নেতা জাহাঙ্গীর আলম রনির সহধর্মিণী মাসুদা বেগম এগিয়ে আসলে তার শ্লীলতাহানি করে এবং তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। একই সঙ্গে মাসুদা বেগমের হাতের রগ কেটে দেয় সন্ত্রাসীরা। হামলা চালিয়ে চলে গেলে এলাকাবাসী মাসুদা বেগমকে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সূত্র: লাইভনারায়ণগঞ্জ