জাতীয়

সোমবার থেকে সব অফিস বন্ধ, চলবে না গাড়িও

ডেস্করিপোর্ট, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :

করোনা সংক্রমণ রোধে সোমবার থেকে দেশে ‘কঠোর লকডাউন’ পালন করা হবে। এ সময় সব ধরনের সরকারি–বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া সব ধরনের গাড়ি চলাচলও বন্ধ থাকবে। শুধু অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে যানবাহন চলাচল করতে পারবে।

শুক্রবার রাতে সরকারের এক তথ্যবিবরণীতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২৮ জুন সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে কঠোর লকডাউন পালন করা হবে। এ সময় জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না।

তবে পরে তথ্য অধিদপ্তরে যোগাযোগ করলে দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, সোমবার থেকে সাত দিনের জন্য এ লকডাউন দেওয়া হচ্ছে।

গণমাধ্যম এ বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে বলে তথ্যবিবরণীতে জানানো হয়েছে। তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, কঠোর লকডাউনের বিষয়ে আরও বিস্তারিত তুলে ধরে শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

এক বছরের বেশি সময় ধরে করোনা মহামারিতে ধুঁকছে বাংলাদেশ। গত বছরের শেষ দিক থেকে কয়েক মাস করোনার প্রকোপ কিছুটা কমেছিল। তবে এ বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে আবার বিধিনিষেধের আওতায় আসে দেশ।

প্রথমে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। পরে তা আরও বাড়িয়ে ১৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। কিন্তু দেশে এখন সংক্রমণ পরিস্থিতি এপ্রিলের মতো ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে।

এবার করোনার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয় গত ঈদুল ফিতরের পরপরই। ভারত সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে রোগী দ্রুত বাড়তে থাকে। পরে তা আশপাশের জেলায়ও ছড়িয়ে পড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা, মৃত্যু ও শনাক্তের হার কয়েক গুণ বেড়েছে।

১ জুন যেখানে আগের ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জনের মৃত্যু ও ১ হাজার ৭৬৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়, সেখানে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১০৮ জনের মৃত্যু ও ৫ হাজার ৮৬৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

বর্তমানে দেশের অধিকাংশ জেলা করোনার ভয়াবহতার ঝুঁকিতে রয়েছে। ১৪ থেকে ২০ জুন নমুনা পরীক্ষা ও রোগী শনাক্তের হার বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাপ্তাহিক রোগতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৪০টিই সংক্রমণের অতি উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।

পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় ২২ জুন থেকে ঢাকাকে সারা দেশ থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেই প্রচেষ্টায় ঢাকার আশপাশের চারটি জেলাসহ মোট সাতটি জেলায় জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের চলাচল ও কার্যক্রম ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এই সাত জেলা হলো মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ। এখন সারা দেশই কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় আসছে।

Related Articles

Back to top button