সোনারগাঁয়ের মৌসুমি আহম্মেদ খূুজে খুঁজে অসহায় মানুষকে খাওয়াচ্ছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :
নাম পরিচয়হীন দিশেহারা অসহায়, ছিন্নমূল, দরিদ্র, পথে-ঘাটে পরে থাকা মানুষগুলির যেন কেউ নেই। এসব মানুষের জন্য রান্না করা খাবারের প্যাকেট নিয়ে সোনারগাঁয়ের পথে পথে ঘুরে বেরাচ্ছেন মানবতাবাদী নেত্রী মৌসুমি আহম্মেদ। প্রায়ই তাঁদের মাঝে নিজ হাতের রান্না করা খাবারের প্যাকেট তুলে দিচ্ছেন তিনি।
সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাবিলগঞ্জ গ্রামের মেয়ে মৌসুমি আহম্মেদ সংসার ও আওয়াী রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে জরিয়ে বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করার মধ্য দিয়ে সোনারগাঁয়ের মানবতাবাদী নেত্রী হিসেবে মৌসুমি আহম্মেদ সুপরিচিত। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন জয়ীতা পুরস্কার সহ আরো অনেক পুরস্কার।
এক প্রশ্নের জবাবে মানবতাবাদী নেত্রী মৌসুমি আহম্মেদ বলেন,
“মানুষের কল্যাণ – সংশ্লিষ্ট যত কাজ আছে, তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম হচ্ছে দরিদ্র ও ক্ষুধার্তকে খাবার দান করা । ( বুখারি , হাদিস : ১২ )”। তাই আমি শেরা কাজটি করছি। আমার রাজনীতি ও সোশাল ওয়ার্ক সবই বঞ্চিত মানুষদের জন্য। যতদিন বেচে থাকি বঞ্চিত ও অবহেলিত মানুষের জন্য কিছুনা কিছু করে যেতে চাই।
সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাজারের অলিগলি, ফুটপাত, ফুটওভার ব্রিজে অবস্থান করা অসহায়, ছিন্নমূল, শারীরিক প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক, রিকশাচালক, শ্রমজীবী মানুষের মাঝে প্যাকেট করা খাবার বিতরণ করেন মৌসুমি আহম্মেদ। কেউ অনাহারে থাকার খবর পেলে তাঁর কাছে ছুটে যান রান্না করা খাবারের প্যাকেট নিয়ে ।
পবিত্র রমজান মাসেও কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবককে নিয়ে গভির রাতে মানুষের মাঝে খাবার প্যাকেট ও পানি বিতরণ করেন তিনি।
মৌসুমি আহম্মেদ সোনারগাঁ টাইমস২৪ কে বলেন, আমি এ কাজে উৎসাহিত হয়েছি মমতাময়ী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মূলক বক্তব্য থেকে। আর আমাকে সহযোগিতা করছেন, সেচ্ছাসেবী সংগঠন- সেইভ দ্যা ফিউচার ফাউন্ডেশন ও মানবাধিকার সংগঠন- বাংলাদেশ পুরুষ অধিকার ফাউন্ডেশন।
সোনারগাঁ টাইমস এর অনুসন্ধানে ফেসবুকে এই কার্যক্রমের কথা জানতে পেরে মৌসুমি আহম্মেদের এক সাক্ষাতকারে উঠে আসে তার মানবতাবাদী কর্মযজ্ঞের কাথা। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় সবকিছুই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ ছিল রেস্টুরেন্টগুলিও এতে সবচেয়ে বিপদে পড়েন পথে পরে থাকা অসহায়, দরিদ্র মানুষরা। তাঁরা খাবার সংকটে পড়েন। এই মানুষগুলোর কষ্টের কথা চিন্তা করেই নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী তাঁদের মুখে একবেলা খাবার তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেই। ফেসবুকে এই উদ্যোগের কথা জেনে কয়েকজন সহায়তার হাত বাড়িয়েও দিয়েছেন।