বৈদ্যের বাজার সাব-রেজিষ্টার অফিসের ওমেদার জাকির হোসেনের দূর্নীতির অভিযোগ দুদকসহ বিভিন্ন মহলে
নিজস্ব সংবাদদাতা, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :
বৈদ্যের বাজার সাব-রেজিষ্টার অফিসের ওমেদার জাকির হোসেনের অনিয়ম ও দূর্নীতিতে অতিষ্ট দলিল লিখকগণ। সোনারগাঁও উপজেলার সাধারণ ব্যক্তিদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ চক্রটি। এ ব্যাপারে বৈদ্যের বাজার সাব-রেজিষ্টা অফিসের দলিল লিখক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৬০জনের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দুদকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিযোগ থেকে জানাযায়,
বৈদ্যের বাজার সাব-রেজিষ্টার অফিসের ওমেদার মোঃ জাকির হোসেন তার সাথে নকল নবিশ মোস্তফাসহ একটি চক্র দীর্ঘ দিন ধরে অফিসে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে সোনারগাঁও এলাকাবাসীকে জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এঘটনাটি দলিল লিখক সমিতির নেতারা গত ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ তারিখে বৈদ্যের বাজার সাব-রেজিষ্টার মহোদয়কে ওমেদার জাকির হোসেন গংদের বিষয়ে অভিহিত করতে গেলে তার পক্ষে শাহ মোঃ আবু ইসহাক ও আব্দর রউফ ভুঁইয়ার নেতৃত্বে তাদের সহযোগিরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং মারামারি করে।
জাকির হোসেনের নেতৃত্বে তাদের সহযোগিরা অফিসে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতিতে নিয়োজিত থাকায় দলিল লিখক মোঃ মহসিন ও মোঃ নজরুল ইসলাম প্রতিবাদ করায় তারা মোঃ মহসিন ও মোঃ নজরুল ইসলামকে মারধর করে। এঘটনায় শাহ মোঃ আবু ইসহাক গংদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় মামলা করা হয়েছে। যার নং ৩৬/৬৩।
উল্লেখ্য যে ২০২০ সালে দলিল লিখক সমিতির নির্বাচনে শাহ মোঃ আবু ইসহাক গং বিপুল ভোটে পরাজিত হয়ে নির্বাচিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ দলিল লিখকদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে বৈদ্যের বাজার সাব-রেজিষ্টার অফিসের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ ৬০ জন দলিল লিখক স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), সোনারগাঁও এমপি সহোদয় সমীপে, মহাপরিদর্শক নিবন্ধন অভিদপ্তর ঢাকা, বিভাগীয় কমিশনার ঢাকা, জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জ, জেলা রেজিষ্টার নারায়ণগঞ্জ, পুলিশ সুপার নারায়ণগঞ্জ, নির্বাহী কর্মকর্তা সোনারগাঁও এবং সাব-রেজিষ্টার অফিস বৈদ্যের বাজার সোনারগাঁও এর কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
বৈদ্যেরবাজার সাব রেজিষ্টার অফিসের দলিল লিখক সমিতির সভাপতি মোঃ খলিলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহীদ সরকার জানান, ওমেদার জাকির হোসেন ও মোস্তফা গংরা মিলে সরকারি সম্পত্তি ভুয়া দলিল করে দেয় মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে। দলিল লিখক সমিতিকে নানা ভাবে হেয় করে জাকির গংরা। প্রতিবাদ করতে গেলে বিশৃঙ্খলা করে মারামারি করে। বিগত সমিতির নির্বাচনে পরাজিত শাহ মোঃ আবু ইসহাক তাদের সাথে আসে আমাদের বিরুদ্ধে। ওমেদার জাকির হোসেন গত তিন মাস ধরে বিনা ছুটিতে অফিসে আসে না। এখন সে আবারো বিশৃঙ্খলা করার জন্য অফিসে আসতে চায়। আমরা চাই দূর্নীতিবাজ ওমেদার জাকির হোসেন ও তার সহযোগী নকল নবিশ মোস্তফাসহ দূর্নীতিবাজদের বৈদ্যের বাজার সাব-রেজিষ্টার অফিস থেকে অপসারণ এবং তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হোক।
এব্যাপাবে জাকির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি।