জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি
প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণসংযোগে প্রতিদিন যা বলছেন -
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ ও সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত এমপি প্রার্থী প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া প্রতিদিন গণসংযোগ, পথসভা ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করছেন।
এসময় তিনি ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে, ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠালে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যেসব উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করা হবে তার মধ্যে রয়েছে, -দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি দমন, শিক্ষার মানোন্নয়ন, তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি, কৃষি ও খাল-নদী খনন, ন্যায় ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা, নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়ন, ইসলামী জীবনব্যবস্থা অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা এবং এলাকায় যানজট নিরসনে রাস্তার সংস্কার ও পানি নিষ্কাশন সমস্যার সমাধান। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
যেমন:- সড়ক উন্নয়ন:
গ্রান্ট্রাক রোডের বেহাল অবস্থার কারণে এলাকাবাসীর ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। সরু রাস্তা ও দুই পাশে ফুটপাত দখলের কারণে প্রতিদিনই মোগরাপাড়া চৌরাস্তা মোড়সহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া বলেন, “গ্রান্ট্রাক রোড দিয়ে ভালো মানের গাড়ি নিয়েও চলাচল করা যায় না। রাস্তাটি সরু এবং দুই পাশে ফুটপাত দখলের কারণে নিয়মিত যানজট লেগেই থাকে। এসব সমস্যা নিরসনে খুব শিগগিরই পুরো রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।
প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া বলেন, আমি জানি এই সড়ক ব্যবহারকারী সবাই চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রতিদিন। তাই দ্রুত সংস্কারকাজ সম্পন্ন হলে এ ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে ইনশাআল্লাহ।
শিক্ষা উন্নয়ন:
সোনারগাঁয়ে একটি মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন।
স্বাস্থ্যখাত:
একটি ভালো মানের হাসপাতাল ও পরবর্তীতে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেছেন।
কৃষি ও খাল-নদী খনন:
সোনারগাঁয়ের খাল ও নদীগুলো খনন করে কৃষিতে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগের কথা বলেছেন।
সুষ্ঠু নির্বাচন:
বলেছেন যে, এবারের নির্বাচন যেন “যেনতেন মার্কা” না হয় এবং প্রতিটি নাগরিকের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি দমন:
বলেছেন, মানুষ এবার ঠিক করবে কোন দলকে ভোট দিলে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি বন্ধ হবে। এবং সেই প্রতীকের নাম “দাঁড়িপাল্লা” (জামায়াতের প্রতীক)।
আদর্শিক বক্তব্য:
ইসলামী মূল্যবোধভিত্তিক সমাজ গঠন, ন্যায় ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছেন।
নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়নে জামায়াতের ভূমিকার কথা বলেছেন।
ইসলামী জীবনব্যবস্থা অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন।
উপস্থিতি:
প্রতিটি এলাকায় গণসংযোগে স্থানীয় জামায়াত সমর্থকদের ও নেতাকর্মীদের সাথে উপস্থিত রাখেন এবং থানা আমীর ও সেক্রেটারিকেও রাখেন।




