রাজনীতি

বিএনপিকে কেয়ারটেকার পদ্ধতি বুঝাতে সময় লেগেছিল; পিআর পদ্ধতি বুঝাতেও সময় লাগবে : মুহাম্মদ আবদুর রব

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ আবদুর রব বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন করে পি আর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। আমরা বাংলাদেশে আর নতুন কোনো ফ্যাসিবাদী শাসন দেখতে চাই না। প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার না হলে অতীতে যেভাবে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম হয়েছে সেই পথে ফ্যাসিবাদী শাসন ফিরে আসার সম্ভাবনা থেকে যায়।তাই বলছি- বিএনপিকে কেয়ারটেকার পদ্ধতি বুঝাতে সময় লেগেছিল দুই বছর। ১৭২ দিন হরতাল করতে হয়েছিল। তখন বিএনপির বক্তব্য ছিল, পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ হতে পারে না। সেই বিএনপি এখন কেয়ারটেকার পদ্ধতির ভক্ত। বিএনপি এখন আবার পিআর পদ্ধতি বুঝাতেই চায় না। সময় লাগবে আস্তে আস্তে পিআর পদ্ধতিও বুঝবে। ছাত্র-জনতা প্রয়োজনে আবার আন্দোলনে নামবে, পি আর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন দিতেই হবে।

তিনি শুক্রবার ২২ আগস্ট জুমাবার নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলা অডিটোরিয়ামে নারায়ণগঞ্জ -৩, সোনারগাঁ আসনের নির্বাচনী দায়িত্বশীল কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমীর মুহাম্মদ আবদুল জব্বার, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর মুহাম্মদ মমিনুল হক সরকার, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ -৩ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূইয়া।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী সেক্রেটারি আবু সাইদ মুন্না, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য দেওয়ান খোরশেদ আলম, মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ -২ ( আড়াইহাজার) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক ইলিয়াস মোল্লা, নারায়ণগঞ্জ -১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মোল্লা, জামায়াত নেতা ড. আসগার ইবন হযরত আলী প্রমূখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ আবদুর রব বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শবাদী সংগঠনের নাম। গণতান্ত্রিক এবং নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জামায়াতে ইসলামী তার কর্মসূচি পরিচালনা করে। বাকশালি ও ফ্যাসিবাদী আমলের দুইটি বিতর্কিত নির্বাচন ব্যতীত প্রতিটি নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী অংশগ্রহণ করেছে। অতীতের সবগুলো সংসদে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব ছিল। জামায়াতে ইসলামী অতীতে কেয়ারটেকার সরকারের দাবী করেছিল, তখন কোনো কোনো রাজনৈতিক দল বলেছিলো কেয়ারটেকার সরকার তারা বোঝে না। কেয়ার টেকার সরকারের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে তাদের অনেক সময় লেগেছিল। এখন আবার কেউ কেউ বলছেন, পি আর বুঝেন না। এটাও তারা বুঝবেন তবে তারা সময় ক্ষেপন করে তারপর বুঝবেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ আবদুল জব্বার বলেন, সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে একটি ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

মুহাম্মদ মমিনুল হক সরকার বলেছেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে নতুন করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। হাসিনার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

ড. ইকবাল হোসাইন ভূইয়া বলেন, আগামী নির্বাচনে জনগণ সৎ যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করবে ইনশাআল্লাহ।সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আগামী নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে জামায়াতের আহ্বান পৌঁছে দিতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button