রাজনীতি

বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে লক্ষাধিক লোকের উপস্থিতিতে জামায়াতের সমাবেশ ও গণমিছিলে

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ফ্যাসিস্টদের সকল অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দৃশ্যমান করতে হবে এবং জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে জনগণের আকাঙ্খা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার সাধণ করতে হবে। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে লক্ষাধিক লোকের উপস্থিতিতে জুলাই বিপ্লব বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর মুহাম্মদ মমিনুল হক সরকার সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

মঙ্গলবার ৫ আগস্ট বিকেলে কাঁচপুর এলাকায় “নিউ ঢাকা” নামের মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে জুলাই বিপ্লব বার্ষিকী উপলক্ষে এই সমাবেশ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এই সমাবেশ ও গণমিছিল ছিল তাক লাগানো জনসমুদ্র।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা শাখার সেক্রেটারি মো. হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় ঢাকা সিলেট মহা সড়কের নিউ ঢাকা প্রজেক্ট মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূইয়া, জেলার সহকারী সেক্রেটারি আবু সাইদ মুন্না, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাসুদুর রহমান গিয়াস, নারায়ণগঞ্জ-২ (রূপগঞ্জ) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মোল্লা, এড ইসরাফিল হোসাইন, আবদুল মান্নান, ছাত্র নেতা আকরাম হোসাইন প্রমূখ।

সভাপতির বক্তব্যে মমিনুল হক সরকার আরো বলেন, আওয়ামীলীগ এবং শেখ হাসিনা বাংলাদেশে যে নিষ্ঠুর শাসন এবং দমন পীড়ন চালিয়েছে তা ইতিহাসের এক জঘন্য কালো অধ্যায়। তারা জামায়াতের এগারো জন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করার মাধ্যমে মনে করেছিলো ইসলামী আন্দোলনকে চিরতরে শেষ করে দিবে, কিন্তু আমাদের নেতাদের হত্যা করে হাসিনা তার পতনকেই তরান্বিত করেছে। যার কারণে তাকে ছাত্র জনতার আন্দোলনে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে।

প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূইয়া বলেন, জনগণ ইতিপূর্বে বহু শাসন দেখেছে, এবার জনগণ সৎ দক্ষ যোগ্য ও দুর্নীতিমুক্ত নেতৃত্ব দেখতে চায়। জামায়াতে ইসলামী কুরআন সুন্নাহর আলোকে একদল সৎ দক্ষ ও আল্লাহভীরু লোক তৈরি করছে। তাই জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করে জনতা আগামীতে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীদের বিজয়ী করবে।

মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, আওয়ামীলীগ একটি রক্ত পিপাসু খুনী সংগঠন। তারা লগি বৈঠার তাণ্ডবের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর জামায়াতে ইসলামীর এগারো জন শীর্ষ নেতাকে জুডিশিয়াল ক্যুর মাধ্যমে হত্যা করে। জামায়াত নেতাদের হত্যার মাধ্যমে তারা ফ্যাসিবাদী দুঃশানকে পাকাপোক্ত করে। এই সব জুডিশিয়াল ক্যুসহ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে।

বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ শেষে এক বিশাল গণ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আমীর মুহাম্মদ মমিনুল হক সরকারের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত গণমিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাচপুর ব্রীজে এসে শেষ হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button