রাজনীতি

জুলাই সনদের স্বীকৃতি ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে হবে -জেলা আমির মমিনুল হক

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ জেলার আমির মমিনুল হক সরকার বলেছেন, জুলাই ঘোষণাপত্রকে অবশ্যই সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে বন্দরের মদনপুরে একটি রেস্টুরেন্টে জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও আহতদের সম্মানে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মমিনুল হক সরকার জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা এবং পুনর্বাসনের দাবি জানান।

মমিনুল হক সরকার বলেন, জুলাই বিপ্লবের শহীদরা কোনো দলের অন্তর্ভুক্ত নয়, তারা জাতির যোদ্ধা। তাঁদের আত্মত্যাগ যেন অবমূল্যায়িত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

আহতদের সম্মানজনক পুনর্বাসন ও শহীদ পরিবারের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দাবি হলো -জুলাই ঘোষণাপত্রকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এই ঘোষণাপত্রে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও প্রতিনিধিত্বমূলক শাসনব্যবস্থার যে রূপরেখা দেয়া হয়েছে, তা দেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বক্তব্যে তিনি স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, দেশে আর যেন কোনো স্বৈরাচারী শাসক প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে, সে লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে হবে। আগামী সংসদ নির্বাচন অবশ্যই পিআর বা প্রতিনিধিত্বমূলক পদ্ধতিতে হতে হবে।

প্রবাসীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির অন্যতম মেরুদণ্ড। তাদের ভোটাধিকার সংরক্ষণ ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাও সময়ের দাবি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ-৩, সোনারগাঁ আসনের জামায়াত ঘোষিত এমপি প্রার্থী প্রিন্সিপাল ড. মোঃ ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী অধ্যাপক ইলিয়াছ মোল্লা, বন্দর উপজেলার আমির খোরশেদ আলম ফারুকী, সেক্রেটারি আরিফুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা ওলামা বিভাগের প্রধান আশরাফুল ইসলাম, সোনারগাঁ উত্তর ও দক্ষিণের আমির যথাক্রমে ইসহাক মিয়া ও মাহবুবুর রহমান এবং আড়াইহাজার দক্ষিণ এর আমির মাওলানা হাদিউল ইসলাম।

মত বিনিময় সভায় বক্তাগণ বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা গোটা বাংলাদেশে জুলুম নির্যাতনের স্টীম রোলার চালিয়ে নিজেকে নিকৃষ্ট স্বৈরাচার হিসেবে উপস্থাপন করেছিল। রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এমন পরিবর্তন আনতে হবে যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ স্বৈরাচার হতে না পারে।

সভায় বিপ্লবের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন জুলাই বিপ্লবের শহীদ ইমরানের পিতা সালেহ আহমদ, শহীদ মেহদি হাসানের পিতা সানাউল্লাহ, আহত যোদ্ধাদের মধ্যে মো. বায়জিদ আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, রাজু আহম্মেদ মন্ডল, জাহাঙ্গীর, মাসুম, আল আমিন ও শাকিল প্রমুখ।

মতবিনিময় সভা শেষে শহীদের রূহের মাগফিরাত কামনা ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন প্রিন্সিপাল ড. মোঃ ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button