স্বাস্থ্য

সঠিক চিকিৎসায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন মানসিক ভারসাম্যহীন রত্না বেগম

নিজস্ব প্রতিবেদক :

স্বামী-সন্তান নিয়ে একসময় সুখের জীবন ছিল ভোলার চরফ্যাশনের রত্না বেগমের। ২০০৮ সালে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে স্বামীর অপমৃত্যুর পর সব এলোমেলো করে দেয় রত্নার জীবন। তিন সন্তান নিয়ে অথৈ সাগরে পড়ে যান রত্না। একদিকে স্বামীর শোক অন্যদিকে তিন কন্যা সন্তান ও সংসারের ভরণপোষণ সব দুশ্চিন্তায় ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন রত্না। দরিদ্র বাবার পক্ষেও সম্ভব হয়নি তার সুচিকিৎসা করানোর। উপরন্তু জ্বিনে ধরেছে ভুতে ধরেছে গ্রামবাসীর এমন ভুল পরামর্শে ঝাড়ফুঁকসহ নানা অপচিকিৎসায় অবস্থা আরো খারাপের দিকে যায় রত্না বেগমের।

এক পর্যায়ে হাল ছেড়ে দেন পরিবারের সদস্যরাও। বিতাড়িত হন শশুর বাড়ির স্বামীর ভিটা থেকেও। ১৬ বছর বিনা চিকিৎসায় অন্ধকার রুমেই ধুকে ধুকে জীবন পাড় করছেন রত্না বেগম (৩৭)।

সব শেষ চলতি বছর তার ছোটবোন জামাই আব্দুল আজিজ সোনারগাঁয়ে নিয়ে আসেন রাত্নাকে। ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সঠিক চিকিৎসা করা গেলে পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে উঠবেন রত্না বেগম।

রত্না বেগমের ছোট বোনের স্বামী আব্দুল আজিজ জানান, ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে তাদের দেওয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ ও ইনজেকশনে অনেকটাই স্বাভাবিক হচ্ছেন তিনি। ইনজেকশন দেওয়া গেলে রাতে ঘুম হয়, সবাইকে চিনতেও পারছেন।

আব্দুল আজিজ জানান, সোনারগাঁয়ে তার ভাড়া বাড়িতেই থাকছেন রত্না বেগম।
তবে সঠিক চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। যা ছোট চাকরি করা আব্দুল আজিজ বা তার পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তাই আব্দুল আজিজ হৃদয়বান ভিত্তবানদের কাছে একটু সহযোগীতার আবেদন জানিয়েছেন। বিকাশ : ০১৯১৪১৫১৭৬০/ নগদ : ০১৭৪৮১১৫১১৪/

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button