সোনারগাঁয়ে সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি
সোনারগাঁয়ে সন্তান হত্যার ১০ বছর পর বিচার চেয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন নিহত রুহুল জামিলের মা রওশন বানু। বিগত এক দশকেও বিচার না পেয়ে গতকাল সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করেন তিনি।
এর আগে নিহতের পরিবার দুপুরে সোনারগাঁও প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে নিহত মো. রুহুল জামিল হত্যার বিচার দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে নিহতের মা রওশন বানুর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার বড় বোন বিলকিস সুলতানা। নিহতের মা জানান, আমার ছেলে রুহুল জামিলের সাথে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যুদের বিরোধ ছিল। তারা সে সময় তাকে হুমকি দিলে সে সোনারগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। পরে ২০১৫ সালের ২৫শে জানুয়ারি জামিল বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন সকালে এশিয়ান হাইওয়ের রাস্তার পাশে আমার ছেলের লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করি। ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আমজাদ, রাসেল, আলমগীর, জুয়েল ও রফিকুলকে গ্রেপ্তার করা হলেও তারা জামিনে বের হয়ে আসে। পরবর্তীতে পুলিশ উল্লেখিত আসামিদের নাম চার্জশিট থেকে বাদ দিলে আমরা নারাজি প্রদান করি। প্রশাসন দোষীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। গত ১০ বছর প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কাছে সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও এখনো কোন ধরনের বিচার পাইনি। বর্তমানে আমার পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। তাই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে আমার ছেলে হত্যার সঠিক বিচার ও আমাদের নিরাপত্তা দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহত রুহুল জামিলের মা রওশন বানু, স্ত্রী সালমা আক্তার নিঝুম, বড় মেয়ে ফৌজিয়া আফসানা ইনান, ছোট মেয়ে সারা জামিল সিফা, বোন দিলরুবা আক্তার, বিলকিস সুলতানা, ছোট ভাই রুহুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সাম্মি আক্তার লিপি। এ ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান জানান, এ ঘটনার একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। যথাযথ প্রক্রিয়ায় এটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।