নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের আলাপদী এলাকায় জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী নাজমুল হুদা নামের এক যুবক।
২৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে হাতকোপা এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন করে এ প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনের ভূক্তভোগী নাজমুল হুদা দাবি করেন, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের আলাপদী গ্রামে কৃষ্ণাদি মৌজায় তার বাবা পৈত্রিক সম্পত্তি রয়েছে। একই ইউনিয়নের ষোলপাড়া গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল হায়দার বাবু ওরফে টিভি বাবু ও তার ভাই শামীম হায়দার ওরফে ওয়ালটন শামীম আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে তার বাবার কাছ থেকে জোরপূর্বক রাতের আধারে ১২০ শতাংশ জমির পাওয়ার অব এ্যাটর্নি করিয়ে নেন। তার বাবা এম এ বাসেদ মারা যাওয়ার পর সেই পাওয়ার অব এ্যাটর্নি বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সাব রেজিষ্ট্রারের কাছে না নিয়েই নীচ তলার একটি কক্ষে তার কাছ থেকে ৪৩ শতাংশ জমির একটি দলিলে স্বাক্ষর নেন। সেই দলির বাতিলের জন্য নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন নাজমুল হুদা।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানান, দলিল গ্রহিতা আল মামুন, সোনারগাঁ সাব রেজিষ্ট্রার ও জেলা রেজিষ্ট্রারকে বিবাদী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ওই জমিতে আদালত স্থিতিবস্থা জারি করেন। আদালতের আদেশ অমান্য করে তার জমিতে সাঁটানো সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে নতুন করে দখল করেন বর্তমানে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু ও তার ছেলে কাজী নাজমুল ইসলাম লিটু।
এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। বর্তমানে তিনি এ জমির বিরোধ নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে দাবি করেন।
অভিযুক্ত রফিকুল হায়দার বাবু বলেন, বিরোধকৃত জমির সঙ্গে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। কোথাও তার নাম, স্বাক্ষর বা উপস্থিতি নেই বলে দাবি করেন।
তার ভাই জমির ব্যবসা করেন। নাজমুলের বাবার কাছ থেকে জমি ক্রয় করে মালিক হয়েছেন।
অভিযুক্ত কাজী নাজমুল ইসলাম লিটু বলেন, জমির মালিকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তিনি বালু ভরাটের দায়িত্ব নিয়েছেন। সাইনবোর্ড ফেলে দেওয়ার সঙ্গে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেন। তাছাড়া নাজমুল তার কাছে জমির মিমাংসার জন্য এসেছেন। তিনি জমির নামজারি করে সামাজিকভাবে বসে মিমাংসার প্রস্তাব দিয়েছেন।