নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আধিপত্য বিস্তারের জেরে এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।
গুরুতর আহত সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহিম বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত সোমবার সন্ধ্যায় পৌর মার্কেটের সামনে অবস্থান করছিলেন পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাহিম। এসময় অতির্কিত পৌরসভার দত্তপাড়া গ্রামের হাসনাইন, টিপরদী গ্রামের জহিরুল ইসলাম বাবু এবং রাইজদিয়া গ্রামের সজিব এর নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি দল রাহিমকে একা পেয়ে রামদা, চাপাতি, হকিস্টিক, রড ও লাঠি শোঠা নিয়ে হামলা চালায়। এতে মাথায় গুরুতর জখমসহ হাত-পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায় রাহিমের।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত রাহিমকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত রাহিম সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি মান্নানের ঘনিষ্ঠ বলে জানা যায়। আর হামলাকারী হাসনাইন, সজিব থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের সমর্থক।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাহিম বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচি পালন করে সাংগঠনিকভাবে দল গোছাতে সক্রিয় ভুমিকা পালন করে।
তবে এনিয়ে বিগত সময়ে বিএনপির রাজনীতিতে নিষ্ক্রীয় ছিল এমন একটি পক্ষ ইর্ষান্বিত হয়ে পড়ে। তারাও নিজেদের অবস্থান তৈরী করতে রাহিমকে প্রতিপক্ষ মনে করে। তারাই রাহিমকে কুপিয়েছে বলে ধারনা দলীয় নেতাকর্মী ও পরিবারের সদস্যদের।
রাহিমের স্ত্রী আসমা আক্তার জানান, বেশ কিছু দিন ধরেই এলাকার কিছু বখাটে ও উশৃংখল যুবক হাসনাইন, সজীব ও বাবুর নেতৃত্বে আমার স্বামীর নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা রাহিমকে প্রাণে মেরে ফেলবে ও এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়ে আসছিল। কিন্তু ৫ তারিখ আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর তারা চাঁদা না পেয়ে আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে।
এবিষয়ে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম কামরুজ্জামান জানান, এবিষয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
