সোনারগাঁয়ের খবর

সোনারগাঁয়ে বিএনপি’র দুপক্ষের সংঘর্ষ: গুরুতর আহত ২

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিএনপি দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই ব্যক্তি গুরুতর আহত হন।পরে তাদের কে উদ্বার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই ব্যক্তিই বিএনপির কর্মী বলে জানা গেছে।

রবিবার (৮ জুন) রাত দশটার পর উপজেলার বারদী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড চেংগাকান্দি গ্রামে ডিশ ব্যবসা ও বালু ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র যুবদল নেতা হারুনের সাথে ছাত্রদল নেতা ইউনূসের বড় ভাই মঞ্জুর তর্কে লিপ্ত হন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষই মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এতে মঞ্জুর ও হারুন দুজনই মারাত্মকভাবে আহত হলে তাদেরকে উদ্ধার করে মঞ্জুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং হারুনকে চিটাগাং রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদল নেতা ইউনুস বলেন, আমার বড় ভাই মঞ্জুরকে যুবলীগ নেতা ইকবালের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে রাতের খাবার খাওয়া থেকে ফোন করে উঠিয়ে নিয়ে হামলা করে। হামলার সাথে জড়িতরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের সমর্থক বলে জানা গেছে।

তিনি আরও জানান, হামলাকারীরা তার ঘরবাড়ি ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করে। এ সময় তার বোনের বিয়ের জন্য রাখা পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, এক লাখ বিশ হাজার টাকা নগদ অর্থ ও কোরবানির গরুর মাংসসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি’র ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি বিল্লাল মুন্সী বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপ মান্নান গ্রুপ ও রেজাউল গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ হয়। এখানে আমার চাচাতো ভাই ইকবাল জড়িত নয়। যুবদল নেতা হারুন ও মঞ্জুর তারা ওই এলাকায় ডিশ ব্যবসা ও বালুর ব্যবসা করে আসতেছে। এই ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই তাদের মাঝে সংঘর্ষ হয়। এখানে আমি কিংবা আমার ভাই যুবলীগ নেতা ইকবাল জড়িত নয়। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। মামলার বিষয় চলমান আছে।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button