সোনারগাঁয়ের খবর

সোনারগাঁয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্তর্গত প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁ। সবুজ বন-বনানী আর অনুপম স্থাপত্যশৈলীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য়ের নান্দনিক ও নৈসর্গিক পরিবেশে ঘেরা এই এলাকা স্বীকৃতি পায় পর্যটন নগরীর। এ এছাড়াও সোনারগাঁয়ে রয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় বহু শিল্পপ্রতিষ্ঠান, মিল-ফ্যাক্টরি, হাসপাতাল, শপিংমল, হাটবাজার ও ঘণমানুষের বসবাস। অথচ এই সোনারগাঁয়ে নেই কোন নির্দিষ্ট বর্জ্য ফেলার স্থান বা ডাম্পিং জোন। এমনকি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কারো কোন উদ্যোগ চোখে পরার মতো কিছুই নেই। মাঝেমাঝে কিছু শিরোনাম দেখাযায় ” ময়লার বাঘাড় হয়ে গেল ফুলের বাগান”! তাই জনমনে আজ বড় প্রশ্নটা হলো- ময়লা ও বর্জ্য ফেলার স্থান বা ডাম্পিং কোথায়?বুধবার ১৮ জুন, ২০২৫ইং রোজ বুধবার সকালে পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন তার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সোনারগাঁয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দাবিতে করেন।

তিনি বলেন, প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে হাট-বাজারের, ঘড়- গৃহস্থালি, কল-কারখানার ও হাসপাতালের বর্জ্য যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে, যা সরাসরি প্রভাব ফেলছে আমাদের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর। ড্রেন ও খালগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে সর্বত্র, বাড়ছে রোগজীবাণুর বিস্তার। এভাবে চলতে থাকলে আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা রেখে যাব এক বিষাক্ত সোনারগাঁ। আর আমাদের সোনারগাঁয়ে ঘুরতে আসা পর্যটকমহলের কাছে হাড়াতে পারে তার সুনাম ও সুখ্যাতি।

তাই পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, সোনারগাঁয়ের ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নের জন্য অবিলম্বে একটি বা একাধিক নির্দিষ্ট স্থান ডাম্পিং জোন হিসেবে নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম চালু করতে হবে।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সুধীজন, পরিবেশবাদী কর্মী এবং গণমাধ্যমকর্মীরা। বক্তারা বলেন, উন্নয়নের জন্য শিল্প প্রয়োজন, তবে সে উন্নয়ন হতে হবে পরিবেশবান্ধব। প্রয়োজন হলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আইনের আওতায় এনে পরিবেশ রক্ষায় বাধ্য করতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button