রাজনীতি

সোনারগাঁয়ে জামায়াতের গণসংযোগে ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্রের অঙ্গীকার

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রিন্সিপাল ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া বললেন, “চাঁদাবাজমুক্ত সমাজ ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনই আমাদের লক্ষ্য”

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ ও সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের প্রার্থী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের চৌরাস্তা বাজার এলাকায় এই গণসংযোগে তিনি দলের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় ভোট প্রার্থনা করেন।

গণসংযোগ চলাকালে প্রিন্সিপাল ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া স্থানীয় ভোটার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং ইসলামী মূল্যবোধভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র গঠনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, চাঁদাবাজমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ, আদর্শ সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণরাষ্ট্র গঠনের জন্য ইসলামের পক্ষে এবং দাঁড়িপাল্লার পক্ষে সবাইকে একত্রিত হতে হবে। দেশের উন্নয়ন ও শান্তির জন্য সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব প্রয়োজন।

প্রিন্সিপাল ইকবাল আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী জনগণের আস্থা অর্জন করে ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে কাজ করছে। আমরা ন্যায় ও আদর্শের পথে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট :
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনটি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা, যেখানে বিএনপি, এনসিপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও মাঠে নেমেছে। দলটি দীর্ঘদিন পর সক্রিয়ভাবে জনসংযোগে নেমে নিজেদের পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।

বিশ্লেষকদের মতে, প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়ার প্রচারণা মূলত নৈতিক রাজনীতি ও সৎ নেতৃত্বের পুনঃউদ্ভাবন-এর বার্তা বহন করছে। ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্র গঠনের অঙ্গীকারের মাধ্যমে দলটি জনমনে একটি নৈতিক বিকল্প হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে চাইছে।

স্থানীয় প্রতিক্রিয়া :
গণসংযোগে অংশ নেওয়া প্রায় শতাধিক স্থানীয় ভোটার প্রার্থীকে স্বাগত জানান। বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে তিনি ভোটারদের কাছে দলীয় অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।
সোনারগাঁ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আসাদুল ইসলাম আসাদ, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি ও সেক্রেটারিসহ স্থানীয় জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ইকবাল স্যার শিক্ষিত মানুষ, এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তার পরিকল্পনা শুনে ভালো লেগেছে। এখন দেখা যাক তিনি কতটা বাস্তবায়ন করতে পারেন।

বিশ্লেষণ :
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জামায়াতের এই গণসংযোগ কেবল নির্বাচনী প্রচারণা নয়, বরং একটি রাজনৈতিক পুনর্বাসনের উদ্যোগ। দলের দীর্ঘ রাজনৈতিক নিষ্ক্রিয়তার পর মাঠে সক্রিয় উপস্থিতি ভবিষ্যতের জন্য নতুন বার্তা বহন করছে।

তবে নির্বাচনী বাস্তবতায় দলের সামনে এখনও নানা চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। তব এবার ভোটের লড়াইয়ে বিএনপিকে ছাড়িয়ে যাবে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। জামায়াত যদি স্থানীয় পর্যায়ে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিয়ে রাখতে পারে তবে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারের সুযোগ তৈরি হতে পারে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button