লিবিয়ায় জিম্মি প্রায় অর্ধশতাধিক বাংলাদেশি যুবক
ইতালিতে কর্মসংস্থানের কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে জিম্মি করে রাখা হয়েছে চুয়াডাঙ্গার ৩৭ যুবককে বন্দিশালায় করা হচ্ছে নির্মম নির্যাতন, পরিবারের কাছে ভিডিও কলে চাওয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
এমন অবস্থায় থানায় মামলা করলেও গ্রেফতার হয়নি কেউ। উল্টো বেড়েছে নির্যাতন।
ভাগ্য পরিবর্তন করতে গ্রামের ৩৭ যুবক ইতালি পাড়ি জমাতে চেয়েছিল। তবে সেখানে আর যাওয়া হয়নি। লিবিয়ায় কথিত মাফিয়া ডন সাগরে আস্তানায় আটকে রেখে চালাচ্ছে নির্যাতন এবং চাচ্ছে মুক্তিপণ। নির্যাতনের দৃশ্য পরিবারকে দেখানো হচ্ছে ভিডিও কলে।
জিম্মি থাকা এক যুবকের পরিবারের একজন বলছেন, ‘জিম্মি আছে বলে আমরা ছেলেপেলের জন্য খুব চেষ্টা করছি। থানায় কেস করলে তারা পুনরায় আমাদের হুমকিধামকি দিচ্ছে আমরা কেস করলাম কেন।’
বন্দি থাকা এক যুবকের স্ত্রী বলেন, ‘আমার স্বামী দীর্ঘ এক বছর যাবত লিবিয়ায় বন্দী আছে গত বছরের ফেব্রুয়ারির ১৩ তারিখে সেই ফ্লাইট গেছে।’
প্রথমে তাদের সাথে মৌখিক চুক্তি হয় কিছু টাকার সেটা ১৩ বা ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়। এরপর তাদের লিবিয়া নিয়ে বন্দী করে রাখা হয়। শুরু হয় নির্যাতন এবং মুক্তিপণ চাওয়া সেটা আরো বড় অঙ্কের টাকা হতে থাকে।
মুক্তিপণের নামে বাইশ থেকে পঞ্চান্ন লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সেই চক্রটি। বন্দি থাকা যুবকদের রক্ষা করতে থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। এতে লাভ তো কোন হয়নি বরং নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছে।
এইদিকে তাদের উদ্ধার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।