আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে চাঞ্চল্যকর নির্বাচনী তৎপরতা শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত সংসদ সদস্য প্রার্থী, দলটির কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মঈনুদ্দিন শুক্রবার (২০ জুন) সকালে বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ কুশিয়ারায় ব্যাপক গণসংযোগ করেন।
গণসংযোগকালে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা জামায়াতের আমীর খোরশেদ আলম ফারুকী, সেক্রেটারি আরিফুল রহমান, তরবিয়ত সেক্রেটারি মো. ইসরাইলসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। স্থানীয় বাজার, দোকান ও পাড়া-মহল্লায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা শোনেন মাওলানা মঈনুদ্দিন। তিনি বলেন, “মানুষের অধিকার রক্ষায় ইসলামী রাজনীতির বিকল্প নেই। আমরা ক্ষমতার জন্য নয়, জনগণের কল্যাণের জন্য মাঠে নেমেছি।”
তিনি আরও বলেন, “দেশে ইনসাফভিত্তিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হলে নৈতিক নেতৃত্বের প্রয়োজন। ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী রাজনীতিই পারে সেই শূন্যতা পূরণ করতে। ইনশাআল্লাহ আমরা বিজয়ী হলে জনগণের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে নিরলসভাবে কাজ করব।”
গণসংযোগে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। অনেকেই মাওলানা মঈনুদ্দিনকে ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে আস্থাভাজন প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করছেন।
অন্যদিকে, জামায়াত প্রার্থীর সক্রিয় প্রচারণার বিপরীতে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে এখনো তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, “দল যাকে মনোনয়ন দেবে আমরা তার পক্ষেই কাজ করব। আশা করি আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ত্যাগী নেতৃত্বকে মূল্যায়ন করেই প্রার্থী মনোনীত হবে।”
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, ব্যবসায়ীদের মধ্যে মডেল গ্রুপের কর্ণধার মাসুদুজ্জামান মাসুদ এবং মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু ইউসুফ খান টিপু।