নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের হলরুমে রেনেসাঁ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে সমাজিক অবক্ষয় রোধে সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় রেনেসাঁ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আতাউর রহমান তার বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা যদি এখনই এগিয়ে না আসি, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম চরম ভাবে সামাজিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তাই গণমাধ্যম, সামাজিক সংগঠন এবং সচেতন নাগরিকদের সমন্বয়ে আমরা একটি নিরাপদ, মানবিক ও নৈতিক সমাজ গড়তে চাই।
মঙ্গলবার ২০শে মে বিকেল “সামাজিক অবক্ষয় রোধে সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেন রেনাসাঁ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন, সহযোগী সংগঠন হিসেবে অংশ নেয় বিসমিল্লাহ এনএম জুলফিকার ফাউন্ডেশন ও পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি।
এ সময় রেনেসাঁ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের এর সভাপতি মোহাম্মদ আতাউর রহমান এর সভাপতিত্বে ও পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় বক্তব্য রাখেন, বিসমিল্লাহ এন এম জুলফিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নাদিরা আক্তার নিরা, সোনারগাঁ টুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশন এর সোনারগাঁ শাখার সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মো. শাহ্জালাল মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক মোহাম্মদ সানাউল্লাহ ব্যাপারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ এর সভাপতি সরদার এম এ মঈন, শিক্ষক মোঃ তাজুল ইসলাম, সনমান্দী জনকল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফয়সাল মিয়া, সাংবাদিক মোহাম্মদ তানভীর আহমেদ, সাংবাদিক মোহাম্মদ সামির সরকার, সাংবাদিক মোঃ মোক্তার হোসেন, পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির মহাসচিব মিজানুর রহমান, নাট্য পরিচালক আব্দুল মালেক ও আব্দুল হক সাহেব, সোনারগাঁ উপজেলা মানবাধিকার সংস্থার সভাপতি মোহাম্মদ শামীম মিয়াসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সমস্যার গভীরতা ও প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে বক্তারা বলেন, নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করার কথা আমরা ভাবছি না। পাঠ্যসূচিতে অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত হলেও নৈতিক ও মূল্যবোধ সম্পর্কিত বিষয় খুবই কম এবং দিন দিন তা আরো হ্রাস পাচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীরা মেধাবী হচ্ছে, কিন্তু ভালো নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষ হয়ে উঠছে খুবই কম। ফলে মাদকাসক্ত কিশোর-তরুণ সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নৈতিকতা ও ধর্মীয় শিক্ষার চর্চা জোরদার করতে সম্মিলিতভাবে নজরদারি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।