নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি ও ছাত্র শিবিরের ১১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে গতকাল শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে পুলিশ ৮ জনকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করেছেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান তাদের ৭ জন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এসময় তিনি আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন। এদিকে পুলিশ ছাত্রশিবির কর্মীদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের পক্ষ থেকে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ইকবাল হোসেন ভূঁইয়াকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি। গ্রেপ্তারকৃতদের শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আটকরা হলেন সোনারগাঁ পৌর বিএনপি সহ-সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি সহ- স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কাসেম, জামপুর ইউনিয়ন বিএনপি সহ-সভাপতি মো. আমজাদ হোসেন লতিফ মেম্বার, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. নবী হোসেন, পিরোজপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি মো. আনসর মিয়া, বারদী ইউনিয়ন যুবদল নেতা মো. শামীম মিয়া ও পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা মো.আবুল হোসেন। এছাড়াও রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকা থেকে ছাত্র শিবির কর্মী হাফিজুর রহমান, মিরাজ মাহমুদ, সুখেরটেক এলাকা থেকে মাহমুদুল হাসান ও পশ্চিম বেহাকৈর এলাকা থেকে আমির হামজাকে গ্রেপ্তার করে।
সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে পুলিশ বিএনপির ৭ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে। নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পুলিশ তল্লাশি করছে। পাশাপাশি নেতাকর্মীদের বাড়ির মহিলাসহ তাদের লোকজনকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, শনিবারের ঢাকার মহাসমাবেশকে ঘিরে ভীতি ছড়াতেই এ গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। দ্রুত পুলিশের এমন আচরণ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তিনি। গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের সোনারগাঁ বিএনপির পক্ষ থেকে সব ধরনের আইনি সহায়তা দেয়া হবে। তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও সেকেন্ড অফিসার পঙ্কজ কান্তি সরকার বলেন, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বিভিন্ন মামলায় বিএনপি ও ছাত্র শিবিরের ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিনা কারনে কাউকে আটক করা হয়নি। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।