সোনারগাঁয়ে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লাঙ্গল-নৌকার সংঘর্ষ
নিজস্ব সংবাদদাতা, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :
সোনারগাঁয়ে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়িতে হামলা ও অবরুদ্ধ করে রাখে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর লোকজন।
৭ই নভেম্বর (রবিবার) সকালে ও বিকেলে উপজেলা জামপুর ইউনিয়নের পাকুন্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারী আওয়ামীলীগ প্রার্থী হুমায়ুন কবীর ভূইঁয়ার সমর্থকরা জাতীয় পার্টির প্রার্থী আশরাফুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মোটরসাইকেলে মহড়া দিয়ে অবরুদ্ধ রাখে বলে অভিযোগ উঠে। হামলায় জাতীয়পার্টির ১০ কর্মী আহত হয়। এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জামপুর ইউনিয়নের জাতীয়পার্টি চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম জানান, গত শনিবার রাতে জামপুরের তালতলা এলাকায় আমার গণসংযোগ শেষ হওয়ার পরপরই সরকার দলীয় আওয়ামীলীগ প্রার্থীর লোকজন আমার লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় কামরুল ও তরিকুল নামে আমার দুই কর্মী গুরুতর আহত হয়। এ হামলার রেশ ধরে আওয়ামীলীগ প্রার্থী হুমায়ন কবীর ভূইঁয়া পাশ্ববর্তী আড়াইহাজার উপজেলার থেকে বহিরাগত লোকজন এনে রোববার সকালে আমার বাড়ির সামনে এসে বাড়ির গেইটে হামলা চালায়। হামলায় বাধা দিতে গিয়ে আমার ছোট ভাই শহিদুল , শিপন, তরিকুলসহ ৭ জন আহত হয়। পরে বিকেলে আবার তারা আমার বাড়ির সামনে এসে পুলিশের উপস্থিততে মোটর সাইকেলের মহড়া দিয়ে বাড়ির প্রবেশ গেইটে সামনে দাড়িয়ে বাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখে।
হামলার ঘটনায় আওয়ামীলীগ প্রার্থী হুমায়ন কবীর ভূইঁয়া বলেন, প্রতিপক্ষ জাতীয়পার্টির অভিযোগ মিথ্যা। আমি এ ঘটনা কিছুই জানি না। আমার বাড়ির সামনে আমার সমর্থিত লোকজন থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তার বাড়ির সামনেই আমার বাড়ি। জাতীয়পার্টির প্রার্থী আশরাফুলই রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল থেকে লোকজন এনে তার বাড়িতে জড়ো করে। উল্টো আমার ওপর মিথ্যা অভিযোগ তুলে এলাকার লোকজনের সমর্থন আদায়ের জন্য। আমার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য এ অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।