সংবাদ সম্মেলন! প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যের ভুল শিকার করে ক্ষমা চেয়েছেন লায়ন বাবুল
নিজস্ব সংবাদদাতা, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বারদীর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বাবুল ওরফে লায়ন বাবুল ওরফে চুম্মা বাবুল প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যের ভুল শিকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। এর আগে নিজের স্পষ্ট বেফাঁস মন্তব্যকে সাংবাদিকদের এডিট কারসাজি বলে চালিয়ে দিতে চেষ্টা করেন লায়ন বাবুল ওরফে চুম্মা বাবুল। এছাড়াও তিনি কিছু সাংবাদিক দিয়ে তার পক্ষে নিউজও করান। ফলে জেলা আওয়ামীলীগ তাকে সদস্য পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেন। এ ঘটনার পর লায়ন বাবুল ওরফে চুম্মা বাবুল সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩ টায় উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে মাহবুবুর রহমান বাবুল লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান। তিনি বলেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিজ এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা ও মাদক নিয়ন্ত্রণ করার বক্তব্য দিতে গিয়ে মুখ ফসকে বেফাঁস মন্তব্য করে ফেলেছি। তাই মাটি ও মানুষের নেত্রী আমার মা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিকট আমি ক্ষমা প্রার্থী।
তিনি আরো জানান, যেহেতু আমি বর্তমানে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি তাই ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের ছায়াতলে থেকে সেই দায়িত্ব পালন করতে চাই। তাই অব্যাহতি তুলে নিতে আমার উর্ধতন নেতৃবৃন্দের নিকট বলেন বিনীত আহবান করছি।
কোন চাপে পরে এই সংবাদ সম্মেলন ও ক্ষমা প্রার্থনা করছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার নিজস্ব চিন্তা ভাবনা থেকেই আমি আমার সকল ইউপি সদস্যদের কে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইছি।
উল্লেখ্য গত ১২ ফেব্রুয়ারী বারদীতে একটি ওয়াজ মাহফিলে মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য রাখতে গিয়ে মাহবুবুর রহমান বাবুল বলেন, আমি বারদীর ম্যাজিস্ট্রেট, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বারদী আসলেও আমার হুকুম লাগবে। তিনি আরও বলেন, প্রশাসন আমার পক্ষে কাজ করবে, কারও ফোনে প্রশাসন আসবে না। আমি বাবুল যদি বলি সুইচ অফ, দিস্ ইস্ অফ। কারন আমার যোগ্যতায় আমি চেয়ারম্যান হয়ে আসছি।
,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা গুলোতে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়। আওয়ামী লীগ হতে সাময়িক বহিস্কার করা হয়।