দক্ষ বিদেশী পেশাজীবীদের নাগরিকত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলিম দেশ সৌদি আরব। গত বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত এক রাজকীয় ফরমানে অনুমোদন দিয়েছেন বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ।
এর মাধ্যমে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের তেল নির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসার ‘ভিশন-২০৩০’ উচ্চাভিলাষ অর্জন আরো সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে ।
রাজকীয় ওই ফরমানে বলা হয়েছে শুধু নির্দিষ্ট কয়েকটি পেশায় বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন বিদেশীরাই সৌদি আরবের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
দেশটির প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছেÑ আইন, চিকিৎসা, বিজ্ঞান, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও প্রযুক্তির মতো বিশেষায়িত পেশায় উচ্চ দক্ষতা রয়েছে, শুধু এমন বিদেশীদেরই নাগরিকত্ব দেবে সৌদি আরব। এর লক্ষ্য, দেশটিতে পেশাদারদের জন্য একটি আকর্ষণীয় শীর্ষ স্তরের ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি করা। তবে ঠিক কবে থেকে এই ঘোষণা কার্যকর করা হবে বা নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়ার বিষয়ে এখনই কিছু জানায়নি সৌদি আরব।
এর আগে ২০১৯ সালে এক ঘোষণায় সৌদি আরব জানায়, বেশ কয়েকটি পেশায় দক্ষদের জন্য নাগরিকত্ব আইন শিথিল করা হবে। ওই বছর দেশটির শূরা কাউন্সিল বিদেশীদের জন্য রেসিডেন্ট পারমিট দেয়ার বিধান রেখে একটি আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছিল। এর দুই বছরের মাথায় এবার বিদেশীদের নাগরিকত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
এক টুইট বার্তায় সৌদি সরকার বলেছে, বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানী, বুদ্ধিজীবী ও উদ্ভাবকদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্য হলো, সৌদি আরবকে একটি বৈচিত্র্যময় কেন্দ্রে পরিণত করা, যাতে আরব বিশ্ব গর্বিত হবে।
সৌদি আরব সরকারের দেয়া নতুন ঘোষণাটি কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কর্মরত পেশাদারদের ওপর কেন্দ্র করে হলেও, দেশভিত্তিক কিছু প্রবাসী এবং উপজাতিকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই ঘোষণায় ফরেনসিক ও চিকিৎসাবিজ্ঞান, প্রযুক্তি, কৃষি, পারমাণবিক এবং নবায়নযোগ্য শক্তি, তেল-গ্যাস ছাড়াও যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করেন তাদের কথাও বলা হয়েছে।