জাতীয়

মুজিব একটি সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছেন: মেজর ডালিম

দীর্ঘদিন আড়ালে থাকা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর শরিফুল হক ডালিম (বীর বিক্রম) প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের লাইভ টকশোতে কথা বলেছেন।

রোববার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টায় ইলিয়াস হোসেনের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত এই টকশো মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। টকশোটি বাংলাদেশে অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচারিত কোনো অনুষ্ঠানের ইতিহাসে রেকর্ড গড়ে, যেখানে একসঙ্গে প্রায় সাত লাখ দর্শক যুক্ত ছিলেন।

টকশোতে মেজর ডালিম বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনের নেপথ্যের ঘটনা নিয়ে কথা বলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অনেক অজানা ইতিহাস এবং পরবর্তী সময়ে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে তার মতামত দেন।

টকশোর শুরুতে মেজর ডালিম নতুন প্রজন্মের ছাত্র ও জনগণকে লাল শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বিপ্লব একটি চলমান প্রক্রিয়া, এবং এর পূর্ণ বিজয়ের জন্য আরও সময় প্রয়োজন।

তিনি ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে ছাত্র-জনতাকে উদ্দেশ করে বলেন, সম্প্রসারণবাদী এবং হিন্দুত্ববাদী ভারতের কবল থেকে ১৯৭১ সালের মতো আরেকটি স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। তা না হলে বিপ্লব ব্যর্থ হবে।

মেজর ডালিম বলেন, মুজিব মারা যায়নি, একটি সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছে। বাকশাল বিদায়ের পরে কোটি কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে এসে শুকরিয়া আদায় করেছে।

তিনি বলেন, শেখ মুজিব তার জুলুমের মাত্রা এতোটাই তীব্র করেছিল স্বৈরাচারী আচরণের মতো যে, তখন মানুষ রবের কাছে মুক্তি চাচ্ছিল তার জুলুমের অবসানের জন্য।

মেজর ডালিম আরও বলেন, ‘তথাকথিত নেতারা যখন ভারত পালিয়ে গেল। ছিল না যখন কেউ নেতৃত্বের দেওয়ার। সমঝোতা নিয়ে সবাই ব্যস্ত। পাকিস্তান বাহিনী যখন বাঙালির ওপর হামলে পড়েছিল। তখন মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা আসে। আমি তখন পাকিস্তান আর্মিতে। মেজর জিয়ার ঘোষণা শুনে মনে হলো, আর বসে থাকার সময় নেই। আমরা তখনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে গেলাম।’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। এর সূচনা মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে। আমরা তখনই বুঝতে পেরেছিলাম মুক্তিযুদ্ধ কাদের স্বার্থে হচ্ছে। এটি কি সত্যি আমাদের জন্য, নাকি অন্য কারও উদ্দেশ্যে?

Related Articles

Back to top button