আজ মহান স্বাধীনতা দিবস।
মর্যাদায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে আমাদের বাংলাদেশ। বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবময় দিন আজ।
৫১ বছর আগে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের সূচনা ঘটে দখলদার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অতর্কিত আক্রমণের পটভূমিতে। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগমুহূর্তে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
এরপর তাঁর অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার। দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষ স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে।
আজ আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহীদ, সম্ভ্রম হারানো মা বোনদের, স্মরণ করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও চার জাতীয় নেতাকে।
স্বাধীনতার প্রথম লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসনের শৃঙ্খলমুক্তি। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে তা অর্জিত হয়েছে। দ্বিতীয় লক্ষ্য ছিল একটি গণতান্ত্রিক,ন্যায়ভিত্তিক ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠন; যেখানে দেশের প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদা ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হবে।
পাকিস্তানিরা এ দেশটাকে শুধু শোষণই করেছে, বাঙালির কোনো অধিকারের স্বীকৃতি ছিল না। তাদের অব্যাহত শোষণ – নির্যাতনের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
সত্তরের নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে । কিন্তু পাকিস্তানিরা বাঙালির হাতে ক্ষমতা না দিয়ে শুরু করেছিল বাঙালিনিধন।
তখন মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলামের নেতা-কর্মীরা পাকিস্তান বাহিনীর সহযোগিতায় নামে। কিন্তু বাঙালির স্বাধীনতার স্পৃহা তারা দমাতে পারেনি। স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি।
জাতি আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ নতুন করে এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে- এটাই প্রত্যাশা।