বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ। বর্তমান প্রধান মন্ত্রী গণতন্ত্রের মানসকণ্যা। সুতরাং বিরোধী দলের ভোটের অধিকার আদায় করার জন্যে লড়াইয়ের প্রয়োজন কি?এত চাপাবাঁজিরই বা দরকার কি?
কোন দলের মেনোফেস্টোতেই ভোট ডাকাতি/চুরি করে ক্ষমতায় যাওয়ার কথা থাকে না, বরং জনগণের সমর্থন পাওয়ার জন্য তাদের বহু ধরণের সুযোগ-সুবিধা, লোভ ও লাভই বর্ণনা করা হয়।
এমনকি পারলে ভোট পেয়ে জনপ্রতিনিধি হতে পারলে আকাশের চাঁদও যদি সম্ভব হয় এনে দেবে আরো কত কি! কতো যে ওয়াদা করা হয়, তার কোন ইয়ত্তা নেই।
আমার নিজ কানে শোনা নির্বাচনের পূর্বে জনৈক মরহুম নেতার বক্তব্য ছিল আপনারা ধানের শীষে ভোট দিন। দল ক্ষমতায় গেলে রাস্তা-ঘাট, ঘর বাড়ি ওঠান আঙ্গিনা সব পাকা করে দেবো। প্রায় দুই যোগ কাটল। ঐ নেতার মৃত্যুও হলো, ভৌটও পেয়েছিলেন সরকারও গঠন করেছিলেন; কিন্তু কথা রক্ষা করতে পারলেন না।
ওনিতো একজন পাতি নেতা ছিলেন মাত্র। তার কথাটা হালকা কথা। কিন্ত বড়ই পরিতাপের বিষয় হচ্ছে -খোদ প্রধান মন্ত্রী যখন মদিনা সনদে রাষ্ট্র চালনো, ঘরে ঘরে চাকরি দেবার কথা, ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবার ওয়াদা করে তা রাখে না, তখন সত্যিই দুঃখ লাগে।
ভোট প্রদান, মত প্রদান, পছন্দসই নেতা নির্বাচন প্রতিটা মানুষের মৌলিক অধিকার ও বাংলাদেশের সংবিধানে স্বীকৃত অধিকার।
এ ভোট একটি গুরুত্বপূর্ণ আমানত। এ আমানত উপযুক্ত পাত্রে দিয়ে আমানত রক্ষা করে ঈমান বাঁচাতেই হবে। অন্যথায় ঈমান হারা তথা সর্বহারা হয়ে জাহান্নামে যেতে হবে।
হাদীস: ” যে আমানত রক্ষা করেনা, তার ঈমান নেই। যে ওয়াদা রাখেনা তার ধর্ম নেই।” এখন প্রশ্ন হচ্ছে ভোটের আমানত রক্ষা করতে না পারলে আপনি কেমন ঈমানদার হলেন?
ঈমান হারা ব্যক্তির বেঁচে না থেকে কচু গাছের সাথে রশি বেঁধে ফাঁস দেওয়াং উচিৎ। মনে রাখতে হবে — পৃথিবী শক্তের ভক্ত, নরমের যম। ঈমানদার ভাই ও বোনেরা! ওঠুন, জাগুন, সময় হয়েছে, ঘুরে দাঁড়ান।
যেমন কুকুর তেমন মুগুর দিয়ে ভোটাধিকার রক্ষা করুন। ঈমানদার, খোদাভীরু, সৎ ও যোগ্য লোকদের ভোট না দিলে যুলুম-নির্যাতন চলতেই থাকবে। আসমানি বালাও আসতেই থাকবে। করোনার ন্যায় ভয়াবহ গযব বন্ধ হবে না।
আর এ সময় বুজুর্গুদের দোয়াও ক্ববুল হবে না বলে রসূল স. হুঁশিয়ার করেছেন।
এক একটা ভোট কেন্দ্রে ভোটার থাকে হাজার হাজার,ভোট ডাকাত থাকে মুষ্টিমেয় নগণ্য সংখ্যক, এদের পিতৃ পরিচয় আছে কিনা সন্ধেহ আছে। ওরা মাদক সেবি, বখাটে, গাঞ্জুটে, পোষা কুকুর ও ভারাটে, ওদের রুখেদিন। আপনি কি ঘর জামাই, ভাড়াটিয়া, বিদেশি? তাহলে ভয় কিসের?
মানব-দানবকে ভয় করা তো শিরক যা অমার্জনীয় অপরাধ। এ অপরাধে অপরাধি হওয়া যাবে না। ভোট ডাকাতদের আন্তরিকভাবে দাওয়াত দিন এবং বুঝিয়ে বলুনঃ “থামুন!
ভোট ডাকাত ভাই ও বন্ধুগণ। ভয়াবহ গযব ও সীমাহীন অত্যাচার-নির্যাতন, অসৎ, খোদাদ্রোহি, মুশরিক-সেবক অযোগ্য নেতৃত্ব থেকে দেশ এবং দেশবাসীকে বাঁচতে দিন, মীরজাফরি করবেন না প্লীজ।
রাজনৈতিক নেতা-কর্মি বা কোন ভদ্রলোক ভোট ডাকাতি করতে পারে কি?