২৯’শে মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা ভিত্তিক একটি পত্রিকা ও ২’শরা এপ্রিল আরো একটি জেলা ভিত্তিক পত্রিকা সহ দুইটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারকারীদের থেকে তিন হাজার (৩,০০০) টাকা চাঁদাবাজির দায়ে তিন গণমাধ্যমকর্মীর বিরুদ্ধে ভুয়া সংবাদ প্রকাশিত করা হয়।
সোনারগাঁয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ‘হলুদ সাংবাদিক’ খ্যাত গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে পরিচয়দানকারী কয়েকজনের মাধ্যমে মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হেনস্তা ও মানহানির শিকার হন ওই তিনজন গণমাধ্যম কর্মী। তারা হলেন, ১| জাতীয় দৈনিক গণকন্ঠ পত্রিকার সোনারগাঁ প্রতিনিধি ও জাতীয় দৈনিক গণতদন্ত পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার শাহারুখ আহমেদ। ২| জাতীয় দৈনিক আমার সময় পত্রিকার সোনারগাঁ প্রতিনিধি ও দৈনিক রুদ্রবার্তার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ফাহাদুল ইসলাম। ৩| জাতীয় দৈনিক শুভদিন ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ভিত্তিক দৈনিক বিজয় পত্রিকার সোনারগাঁ প্রতিনিধি আনিসুর রহমান।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক শাহারুখ আহমেদের মতে, সোনারগাঁয়ের পৌর এলাকার দৈলেরবাগে শাজাহান ও পিয়ার আলী গং দের মালিকানাধীন ছয় তলা বিশিষ্ট ভবনে অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারের সংবাদ পেয়ে সাংবাদিক ফাহাদুল ইসলাম তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ২৫’শে মার্চ শাজাহান মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেন অতঃপর শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী মোবাইলের অপর প্রান্ত হতে সাড়া দেয় ও অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিষয়ে মোবাইলে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করে সরাসরি কথা বলার জন্য সাংবাদিক ফাহাদুল ইসলামকে অনুরোধ জানায়। অতঃপর ২৬’শে মার্চ উপজেলা কার্যালয় কর্তৃক সরকারি অনুষ্ঠান শেষে দুপুরের দিকে আমি সাংবাদিক ফাহাদুল ইসলামের মোটরবাইকের পিছনে বসে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে দুজনেই মোগরা পাড়া চৌরাস্তার দিকে রওনা হই। তার কয়েক মিনিট পরই শাজাহান মিয়ার স্ত্রী সাংবাদিক ফাহাদুল ইসলামকে মোবাইল সংযোগে সরাসরি দেখা করার জন্য পুনরায় অনুরোধ করতে থাকে, ফলে ফাহাদুল ইসলাম উপজেলা হতে চৌরাস্তা আসার পথে শাজাহানের স্ত্রীর সাথে সরাসরি কথা বলার উদ্দেশ্যে মাঝপথে কয়েক মিনিটের বিরতি নেয়। উল্লেখ্য, পূর্বে থেকে ওই ছয় তলা ভবনের কোন বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না তাছাড়া ফাহাদুল ইসলাম আমার সাথে এ বিষয়ে কোনো আলোচনাও করেনি। সুতরাং একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আমি দেখেছি শাজাহানের স্ত্রী ছয় তলা ভবনে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ ফ্লাট বাসা ভাড়া দেয়ার কথা স্বীকার করে এবং কাউকে তথ্যটি না দেয়ার অনুরোধ করে। শুধু তাই নয়, তিতাস কর্তৃপক্ষের সাথে অবৈধ ভাবে অর্থের বিনিময়ে সমন্বয় করে গ্যাস সংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে বলে আমাদের জানান। শাহজাহানের স্ত্রী এলাকার মেয়ে ও সাংবাদিক ফাহাদুলের প্রতিবেশি হিসেবে আমাদের সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য বিশেষ অনুরোধ করে। অতঃপর আমরা মিনিট দশেক পরেই শাজাহান মিয়ার বাড়ি হতে প্রস্থান করি। পরে ভবন মালিক শাহজাহান খবর পেয়ে শাজাহানের পূর্ব পরিচিত সাংবাদিক আনিসুর রহমানের সাথে ফাহাদুল ইসলামের ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি জানতে পেরে পরবর্তীতে আনিসুর রহমানকে পথ রোধ করে রাগান্বিত চিত্তে বিভিন্ন লোকের সম্মুখে মানহানিকর খারাপ আচরণ করে তাছাড়া নানা বাজে মন্তব্যও করে। এমনকি তার বাড়িতে গণমাধ্যম কর্মীদের তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে যাওয়ার বিষয়টি কোনভাবেই মানতে পারছিলেন না বলেও উচ্চস্বরে প্রকাশ করতে থাকে।
এরপর শাজাহান মিয়া তার নিকটতম আত্মীয় সাংবাদিক মোঃ মোক্তারের সাথে বিষয়টি আলোচনা করলে মোক্তার হোসেন তার পরিচিত কোন এক গণমাধ্যম কর্মীর সাথে আলাপ চারিতায় বিষয়টি প্রকাশ করে বলে মোক্তার হোসেন আমাদের জানান। তারপর ওই তৃতীয় ব্যক্তির মাধ্যমে ঘটনাটি নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ছড়িয়ে পড়ে বেশ কয়েকজনের মাঝে, আর সেই সুবাদে কেউ ষড়যন্ত্রমূলক চিত্তে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে ব্যক্তিগত আক্রোশ মিটানোর জন্য নাম গোপন রেখে মিথ্যা ও বানোয়াট ঘটনা সাজিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও লোকমুখে আরও অনেক মনগড়া ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করা হচ্ছে যা অত্যান্ত নিন্দনীয়।
মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রচারণার মাধ্যমে সাংবাদিকদের দমিয়ে দেয়ার একটি হীন প্রচেষ্টা মাত্র। তাছাড়া যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছি। অতএব আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করায় নামধারী গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।