সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৬ মাস আগে। কিন্তু এখনো নির্মাণ করা হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটির সুফল পাচ্ছেন না স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা গেছে , লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ৭টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ এ পথ দিয়ে চলাচল করে। রত্নাই সেতুর পশ্চিম দিকে দুড়াকুটি, কর্ণপুর ও ফুলগাছ গ্রাম আর পূর্ব দিকে রয়েছে মেঘারাম, ইটাপোতা, বুমকা ও খারুয়া গ্রাম। সেতুর দুদিকে হাটবাজার ও স্কুল-কলেজ থাকায় ওই ৭ গ্রামের লোকজনকে এ পথে চলাচল করতে হয়।
এছাড়াও আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী, ভেলাবাড়ী ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের মানুষজনও এ পথ দিয়ে যাতায়াত করেন। বর্ষাকালে এসব এলাকার লোকজনকে বিকল্প পথে ৬/৭ কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হয়।
স্থানীয়রা জানান, সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম দিকের সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য প্রায় ৩০/৩৫ শতক জমি প্রয়োজন। সেতুর ২ পাশের জমি ব্যক্তিগত মালিকানার। ওই জমির দাম নিয়ে প্রশাসন ও জমির মালিকদের মধ্যে মতবিরোধ হয়েছে। ফলে সেতু নির্মাণ হলেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ হচ্ছে না।
এলজিইডি সূত্র জানায়, রত্নাই নদীর ওপর ১২০ মিটার দীর্ঘ ও ৮ মিটার চওড়া এ সেতু নির্মাণের ব্যয় ধরা হয় ৫ কোটি ২৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা। এক বছর মেয়াদী এ কাজ ২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর শুরুর তারিখ ছিল। কিন্তু নানা কারণে নির্মাণকাজ সঠিক সময়ে শুরু হয়নি। ফলে নির্ধারিত সময়ের ৪ বছর পর ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে সেতুর নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়।
স্থানিয় বাসিন্দা লতিফ মিয়া জানান, অনেক বছর অপেক্ষায় থেকে আমরা ব্রিজ পাইছি। এখন রাস্তা নাই।
এলাকাবাসীর সমস্যা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহবানও জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, রত্নাই সেতুর নির্মাণ কাজ নিয়ে শুরু থেকেই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ছিল। এখন সংযোগ সড়কের জমি নিয়ে সমস্যা হয়েছে। তবে সামনে বর্ষাকাল, দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হলে জনগনের চলাচলের দুর্ভোগ কমবে।
আর এলজিইডি’র লালমনিরহাট নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর কাদের জানান, রত্নাই সেতুর ২দিকে মোট ১১৫ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে হবে। এ জন্য ব্যয় হবে প্রায় ৩৪ লাখ টাকা। সংযোগ সড়কের জন্য জমি ক্রয় নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। তা সমাধানের জন্য আমরা চেষ্টা করছি।