নির্বাচনের খবর

সোনারগাঁয়ে একই ইউনিয়নে স্বামী-স্ত্রী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী “

নিজস্ব সংবাদদাতা, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ওমর ফারুককে পিস্তলের বাট দিয়ে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী এম সাইফউল্লাহ বাদলের ছোট ছেলে নাজমুল হাসান সাজন আঘাত করে রক্তাক্ত করার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

৩১ অক্টোবর রোববার সকালে শহরের চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফতুল্লা থানার উদ্যোগে ওই ঘটনার প্রতিবাদ সমাবেশে ভুক্তভোগী ওমর ফারুক ওই অভিযোগ করেন।

এর আগে ৩০ অক্টোবর রাতে হামলার ঘটনা ঘটে। কাশীপুরের উত্তর নরসিংপুরে হামলাকারীরা হাতপাখার ক্যাম্পে প্রবেশ করে এলোপাথাড়ি মারধর করে রক্তাক্ত করে। পরে আশেপাশের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে। রাতে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ফতুল্লা মডেল থানায় গিয়ে বিক্ষোভ করে।

জানা গেছে, এবার কাশীপুর ইউনিয়নে হেভিয়েট প্রার্থী ছিলেন মোমেন সিকদার যিনি সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তাকে এমপি শামীম ওসমান এবার নির্বাচন থেকে বসিয়ে দেন। পরে বাদলের গলার কাটা হয়ে দাঁড়ান ফটো সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম। তিনি মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের পর রীতিমত রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায় বিনা ভোটের চেয়ারম্যান বাদলের। চাররাত নির্ঘুমের পর আশেপাশের লোকজনের মধ্যস্থতায় নির্বাচন থেকে সরে আসেন রাশেদ। কিন্তু তবুও চিন্তা দূর হয়নি। বাদল চেয়েছিলেন ভোটে কেউ না থাকুক গত নির্বাচনের মত। কিন্তু বাধ সাধেন ইসলামী আন্দোলনের ওমর ফারুক। হুমকি চাপের পরেও তিনি নির্বাচন থেকে সরেনি।

এদিকে রাতে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ফতুল্লা মডেল থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। পরে পুলিশ সুষ্ঠু বিচারের আশা দিলে লোকজন চলে আসেন।

আহত ওমর ফারুক বলেন, ‘আমি শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাশিপুর ইউনিয়নের উত্তর নরসিংপুর নিজ বাড়ির সামনে নির্বাচনী ক্যাম্পে বসে স্থানীয় ৫ থেকে ৭জন মুরব্বীদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। ওইসময় আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এম সাইফউল্লাহ বাদলের ছেলে সাজন শতাধিক মোটরসাইকেলে তার অনুগামীদের নিয়ে এসে আমার ক্যাম্পে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় সাজন আমাকে পিস্তলের বাট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। পরে তার সহযোগিরা আমাকে মারধর শুরু করে। আমাকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। মারধর করে ফেলে রেখে চলে যাওয়ার পর স্থানীয়রা এসে আমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থাকবো। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। হামলাকারী সাজন সহ তার সহযোগিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মাধ্যমে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।’

Related Articles

Back to top button