স্বাদ আর পুষ্টিতে ভরপুর স্ট্রবেরির মৌসুম এখন। বাজার থেকে কিনে এনে নানাভাবে খেতে পারেন। এক সময় দেশে স্ট্রবেরি পাওয়া যেত কমই। এখন তা কিছুটা সহজলভ্য। লাল টুকটুকে স্ট্রবেরি; দেখতে যেমন চোখভোলানো, স্বাদেও মনভোলানো। এই ফল রুপে আর স্বাদে নয়, রূপচর্চা ও স্বাস্থ্যচর্চাতেও এই রসাল ফল দারুণ উপকারী।
ফলিক অ্যাসিড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, বি-৬,ভিটামিন বি-৫ এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্টসমৃদ্ধ এই ফলটি দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতেও খুবই কার্যকর। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পলিফেনল, ডায়টারি ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় স্ট্রবেরি রাখা উচিত বলে মনে করেন পুষ্টিবিশেষজ্ঞরা। স্ট্রবেরিকে ফল হিসেবে খেলে বা সালাদে মেশালে তার উপকারিতা অনেক।
অনেকে আবার পানি ঝরানো টক দইয়ের সঙ্গে এর শাঁস ও বীজ মিশিয়ে খায়, সেটিও উপকারি। পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন উপকারে লাগে।
প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে স্ট্রবেরিতে। এই ফল অনেক কার্যকর গরমে শরীরে পানির অভাব দূর করে।
স্ট্রবেরির বীজে থাকে প্রচুর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। হার্ট ভালো রাখতে ও খারাপ কোলেস্টেরলকে বের করে দিতে কাজে আসে এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।
স্ট্রবেরির অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ও প্লান্ট কম্পাউন্ড রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই এই ফল খুবই উপকারী ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য।
স্ট্রবেরি আমাদের হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। অতিরিক্ত ওজন নিয়ে যে এত চিন্তায় রয়েছেন, প্রত্যেকদিন স্ট্রবেরি খেলে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ ঝড়ে যায় সহজে।
শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যালসকে বাড়তে দেয় না এই ফল, তাই ক্যানসারের শঙ্কা কমে। এখানেই শেষ নয়। দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে স্ট্রবেরি।