নারায়ণগঞ্জে ভাঙ্গচুর ও লুটপাটের ছবি তুলতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দৈনিক সংবাদচর্চার স্টাফ ফটো সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান প্রীতম।
এ ঘটনায় পরিবহন শ্রমিক নেতা হাজী রিপন, কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান ও হারুন অর রশিদ গংদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার ২৩শে মার্চ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের জেলখানার বিপরীতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ পত্রে প্রীতম মাহমুদ জানান, সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন লিংক রোডে অবস্থিত জেলা কারাগারের বিপরীতে একটি জমির উপর নির্মিত দোকানপাটে ভাঙ্গচুর ও লুটপাট চালানোর সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছবি তুলেন তিনি। ছবি তুলতে দেখে সন্ত্রাসীরা তার দিকে তেড়ে আসে, পরে সে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলে হাজী রিপন তার হাতে থাকা লোহার হাতল দ্বারা সাংবাদিক প্রীতমের মাথায় আঘাত করে রক্তক্ষরণ ঘটায়।
একই সময়ে কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান ও হারুন অর রশিদ এবং ৪০/৫০ জন হামলাকারী লোহার রড, লোহার পাইপ, কাঠ, বাঁশসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাকে বেদম মারধর করে রক্তাক্ত জখমসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে তার সাথে থাকা নিকন ডি ৭০০ মডেলের ক্যামেরা, স্যামসাং এম ২১ মডেলের একটি স্মার্টফোন, পকেটে থাকা আট হাজার ৩০০ টাকা, জাতীয় পরিচয় পত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের মূল কপিসহ মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় তার মাথা ফাটিয়ে, হাত ভাঙ্গে, পিঠে একাধিক স্থানে জখম করাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে।
প্রীতম জানান, জীবন বাঁচাতে দৌড়ে এসে চায়ের দোকানে আশ্রয় নেই, সেখানেও সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা চালায়।
এসময় চায়ের গরম পানির কেটলী দিয়ে আঘাত করে আমার কপাল ফাটিয়ে দেয় হামলাকারীরা।
পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় আমাকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট খানপুর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। আমি নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে এ হামলার সঠিক তদন্ত করে হাজী রিপন, কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, হারুন অর রশিদকে গ্রেফতারসহ সকল অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানাই।