ওমিক্রনে বিশেষ ভয় নেই। কারণ, এর উপসর্গগুলো সবই সাধারণ ঠাণ্ডালাগার মতো। এমনই বলছেন অনেকে এবং এ কারণে সংক্রমণ দ্রুত বাড়লেও এখনো অনেকেরই ওমিক্রন নিয়ে বিশেষ মাথাব্যথা নেই। যদিও চিকিৎসকরা বারবার বলছেন, ওমিক্রনকে এতটা হাল্কাভাবে নেওয়ার অর্থ বিপদ ডেকে আনা।
তবে এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে, আরও এক সমস্যা। অনেকে বুঝতেই পারছেন না, তারা ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন, নাকি সাধারণ ঠাণ্ডা লেগেছে। কারণ দুটি ক্ষেত্রেই উপসর্গের ধরনগুলো একই রকম। তাই তারা কোভিড পরীক্ষাও করাতে যাচ্ছেন না। এ কারণে নিজেদের আইসোলেশনে রাখারও কোনো উদ্যোগ নেই। এতে আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা।
সম্প্রতি কিঙ্ক’স কলেজ লন্ডনের জেনেটিক এপিডেমিওলজির অধ্যাপক টিম স্পেকটর এ বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, ওমিক্রনে আক্রান্ত নাকি সাধারণ ঠাণ্ডা লেগেছে, তা বোঝার উপায় আছে। একটি উপসর্গ বেশি মাত্রায় দেখা যাচ্ছে ওমিক্রনের ক্ষেত্রে।
এখনো পর্যন্ত ওমিক্রনের যে যে উপসর্গ লক্ষ্য করা গেছে, সেগুলো হলো:
১. গলাব্যথা
২. সর্দি
৩. হাঁচি
৪. গায়ে-হাতে-পায়ে ব্যথা
৫. ক্লান্তি
এর সব কটিই সাধারণ ঠাণ্ডা লাগার ক্ষেত্রেও হতে পারে। কিন্তু ওমিক্রনে এর বাইরে আরও একটি উপসর্গ দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন টিম স্পেকটর। ইউটিউব-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ওমিক্রনে সংক্রমিত হলে গোড়ার দিকে অনেকেরই গা বমি-বমি এবং মাথাঘোরার সমস্যা হচ্ছে। ইংরেজিতে যাকে বলে Nausea। এটিকে ওমিক্রনের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে ধরা যেতে পারে। এ ছাড়া কারও কারও ক্ষেত্রে কোমরে ব্যথা হচ্ছে। সেটিও সাধারণ ঠাণ্ডা লাগার উপসর্গ নয়। মোটের ওপর ওমিক্রনের অন্য উপসর্গের সঙ্গে এই লক্ষণগুরো দেখলে কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন টিম।