পাকিস্তানের জলসীমায় প্রবেশকালে ভারতের একটি সামরিক সাবমেরিন শনাক্ত ও সেটির গতিপথ আটকে দেওয়ার দাবি করেছে পাকিস্তানের নৌবাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের নৌবাহিনী বলেছে, গত শনিবার রাতে (১৬ অক্টোবর) ওই ঘটনা ঘটে। ২০১৬ সাল থেকে পাকিস্তানের জলসীমায় ভারতীয় সাবমেরিন অনুপ্রবেশের তৃতীয় ঘটনা এটি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানায়, পাকিস্তানের নৌবাহিনী ভারতের নৌযান শনাক্ত ও অনুপ্রবেশের চেষ্টা আটকাতে ‘সর্বোচ্চ সতর্কতা ও পেশাগত দক্ষতার’ পরিচয় দিয়েছে। বিরাজমান নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের নৌসীমা সুরক্ষা রাখতে দেশটির নৌবাহিনী কঠোর নজরদারি বজায় রেখেছে।
ডনের খবরে আরও বলা হয়েছে, ১৬ অক্টোবরের এই ঘটনার পর এ নিয়ে তিনবার ভারতের নৌবাহিনীর সাবমেরিন শনাক্ত ও এর গতিপথ আটকে দিল পাকিস্তানের নৌবাহিনীর টহলরত বিমান।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর অভিযোগের বিষয়ে ভারত সরকারের তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
দক্ষিণ এশিয়ার বৈরী দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও সরকার প্রায়ই একে অন্যের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া অভিযোগ তোলে। অবশ্য, দুই দেশই সেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
এর আগে ২০১৬ সালের নভেম্বরে এবং ২০১৯ মালের মার্চে পাকিস্তানের জলসীমায় ভারতীয় সাবমেরিনের অনুপ্রবেশের অভিযোগ করে ইসলামাবাদ।
বিতর্কিত এলাকা কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তুমুল উত্তেজনার কয়েক দিন পর ২০১৯ সালের মার্চে ভারতের একটি সাবমেরিন পাকিস্তানের জলসীমায় অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগ আনেন পাকিস্তানের নৌবাহিনীর মুখপাত্র। তখন তিনি জানান, পাকিস্তানে ভারতের একটি সাবমেরিনের অনুপ্রবেশের চেষ্টা সফলতার সঙ্গে রুখে দিয়েছেন তাঁদের সদস্যরা।
সর্বশেষ সাবমেরিন অনুপ্রবেশের অভিযোগ নিয়ে বিবৃতির পাশাপাশি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। ভিডিওর ইনফ্রারেড ফুটেজে দেখা গেছে, একটি সাবমেরিনের ছুটে চলছে। তারিখ দেখানো হয়েছে স্থানীয় সময় ১৬ অক্টোবর বেলা ১১টা ১৮ মিনিট থেকে ১১টা ৩৬ মিনিটের মধ্যে। ইনফ্রারেড ফুটেজে সাবমেরিনের ভৌগোলিক অবস্থান দেখানো হয়েছে পাকিস্তানের বন্দর নগর করাচির ২৮৩ কিলোমিটার দক্ষিণে। সেই হিসাবে সাবমেরিনটির অবস্থান সমুদ্রতীরবর্তী পাকিস্তানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (ইইজেড) সীমানার ঠিক ভেতরে।