চৈতী কম্পোজিটের মালিক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধ উকিল নোটিশ
নিজস্ব প্রতিনিধি, সোনারগাঁ টাইমস ২৪ ডটকম :
পরিবেশ দূষন ও অন্যের জমি দখল করে ময়লা পানির ড্রেন নির্মান করায় চৈতী কম্পোজিটের মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধ উকিল নোটিশ দেয়া হয়েছে।
৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দিন টিপুরদী এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী শাকিল রানার জমি দখল করায়, তার পক্ষে এডভোকেট ফিরোজ আহমেদ এ উকিল নোটিশ পাঠান।
এতে বলা হয়, দেশের প্রচলিত আইন পরিপন্থী উপায়ে আপনার পরিচালিত চৈতি নীট কম্পােজিট লিঃ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা , কর্মচারী , শ্রমিক ও স্থানীয় সন্ত্রাসী দিয়ে আমার সম্মানিত মােয়াক্কেল শাকিল রানার (সৌদি আরবে কর্মরত-বর্তমানে বাংলাদেশ) নিম্ন তফসিল বর্নিত সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া জোর পূর্বক ভাবে ড্রেন লাইন স্থাপন করা ও কারখানার ডায়িং এর বিষাক্ত রাসায়নিক দূষিত পানি ফেলা হচ্ছে।
যাহা স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদেরকে খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে- এ ধরনের হুমকি ছাড়া কিছুই পায়নি। তাই আমার সম্মানিত মােয়াক্কেলের সম্পত্তিতে আপনার চৈতী কম্পোজিটের বিষাক্ত রাসায়নিক মিশ্রিত কালো পানি ও বর্জ্য না ফেলার জন্য এবং আগামী ০৭ ( সাত ) দিনের মধ্যে আমার সম্মানিত মােয়াক্কেল হাজী শাকিল রানার সম্পত্তিতে থাকা আপনার প্রতিষ্ঠানের নির্মান সামগ্রী বা মালামাল এবং অবেধৈ ড্রেন লাইন আপনি নিজ খরচে অনত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হইল। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে, আপনার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যারা উক্ত আইন পরিপন্থি কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ একতিয়ার সম্পন্ন আদালতে দেওয়ানী, ফৌজদারী মাললা এবং মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে।
তফসিল : নারায়ণগঞ্জ জেলা ও সােনারগাঁ থানাধীন: শ্রী নিবাসদী মৌজায়- খতিয়ান নং এস.এ- ৪৩ , আর.এস -৩৬ ও সি.এস ও এস.এ- ১৪৪ , আর.এস -২০৮ নং দাগে নাল জমি ৩১ শতাংশ হইতে ১৫ শতাংশ। টিপরদী মৌজায়- খতিয়ান নং এস.এ- ৭৮ , আর.এস -১৫৫ দাগ নং – সি.এস ও এস.এ- ২৮ , আর.এস -৭৩ নং দাগে নাল জমি ২৭.২৫ শতাংশ হইতে ৯ শতাংশ । পদ্মালবদী মৌজায়- খতিয়ান নং সাবেক ১০ দাগ নং- সাবেক ৮ দাগে নাল জমি ৩৪ হইতে ৮ শতাংশ একুনে মােট তিনটি দাগে ( ১৫ + ৯ + ৮ ) = ৩২ শতাংশ। ভুক্তভোগী শাকিল রানা বলেন, আমি বিদেশে অবস্থানকালীন সময় আমার অনুপস্থিতিতে চৈতী কম্পোজিট কয়েকটি দাগে আমার মোট ৫৬ শতাংশ যায়গা অবৈধ উপায়ে ভোগ-দখল করছে ও আমার বাড়ির সামনে এবং আসেপাশে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ করে ফেলেছে।
ফলে আশেপাশের পরিবেশ এতোটাই ধূষিত যে তার দুর্গন্ধে ও মশা-মাছির উপদ্রপে এখানে আমারা থাকতে পরছি না। আমি এখন ঘর ছেড়ে ভারা ভাষায় থাকছি। চৈতী কম্পোজিটের ফেলা বিষাক্ত রাসায়নিক মিশ্রিত কালো পানি ও বর্জ্যে মারীখালী নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদীতে গিয়ে মিশছে। এই দুই নদীসহ আশেপাশের এলাকার পানিও দূষিত করছে। ফলে ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। স্বাভাকি মাছসহ খামারের চাষের মাছও মরে ভেসে ওঠে বিভিন্ন সময়।
এর প্রতিবাদে কয়েক বছর দরে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির কর্মসূচী হচ্ছে, আমিসহ অন্য আরো ভুক্তভোগীরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বহুবারই লিখিত অভিযোগ ও সারক লিপি দিয়েছি কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
তাই আজ আমি জানতে চাই স্বাধীনতা তুমি কার? আমার বাড়ি আমার ঘর, ছেড়ে আমি কেন যাযাবর? চৈতী কম্পোজিটের ডিজিএম বদরুল ইসলাম বলেন, শাকিল রানার কিছু যায়গা চৈতীর দখলে পরেছে ঠিক আছে কিন্তু এটা তাদের পারিবারিক বিষয়। শাকিল রানার চাচা যে যায়গা দেখিয়ে দিছেন আমরা সেখানেই লাইন বসিয়েছি। বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে।