চিকিৎসক সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাভাবিক স্বাস্থ্যসেবা । বর্তমান করােনা পরিস্থিতিতে এ সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে।
সােনারগাঁ উপজেলার প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের। চিকিৎসাসেবার জন্য একটি মাত্র সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। এ হাসপাতালে ২১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে সেবা দিচ্ছেন মাত্র ৭ জন। যার মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে বিভিন্ন অফিশিয়াল কাজকর্ম নিয়ে ফলে ৬ জন চিকিৎসকই হাসপাতালের ভরসা।
সােনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০ শষ্যার একটি হাসপাতাল হলেও কাগজে কলমে এটি ৫০ শয্যা। যদিও পঞ্চাশ শয্যার কার্যক্রম এখনাে শুরু হয়নি। ২০ শয্যার হাসপাতাল অনুযায়ী এখানে চিকিৎসক থাকার কথা ২১ জন কিন্তু বর্তমানে পােস্টিং রয়েছে ১৪ জনের। এ ১৪ জন চিকিৎসকের মধ্যে ৭ জন তাদের সুবিধা মতাে ডেপুটেশনে জেলা ও রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন। গত দুই তিন বছর যাবৎ সােনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ সংকট চলছে। এ হাসপাতালে যে চিকিৎসকই পােস্টিং পান তাদের বেশির ভাগই কিছুদিন পর সুবিধা মতাে অন্য কোনাে হাসপাতালে ডেপুটেশনে চলে যান । ফলে কাগজে -কলমে এখানে চিকিৎসকের সংখ্যা বেশি থাকলেও বাস্তব চিত্র একেবারেই ভিন্ন। চিকিৎসক কম থাকার কারণে ভােগান্তির মধ্যে পড়ছেন চিকিৎসা নিতে আসা রােগীরা।
সােনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রচণ্ড ভিড়। সেখানে তিল ধারণের ঠাঁই নেই । করােনা পরিস্থিতিতেও মানুষের মধ্যে কোনাে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। গাদাগাদি করে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করছেন। করােনা পরিস্থিতির কারণে এ হাসপাতালে স্বাভাবিক চিকিৎসার পাশাপাশি করােনা উপসর্গ নিয়ে আসা রােগীরা করােনা পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হচ্ছেন । তাছাড়া হাসপাতালের অপর একটি অংশে করােনার টিকাদান কার্যক্রম চালানাে হচ্ছে। ফলে প্রতিদিন এ হাসপাতালে কয়েক হাজার মানুষের সমাগমের কারণে এখানে করােনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কাও দেখা দিচ্ছে।
এদিকে হাসপাতাল চত্বরের পার্শ্ববর্তী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালালদের দৌরাত্ম্যে রােগীদের ভােগান্তির শেষ নেই। দালালরা চিকিৎসক কক্ষের বাইরে সব সময়ই বসে থাকে।
সােনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা . পলাশ কুমার সাহা বলেন , সীমিত জনবল দিয়ে মানুষকে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি ।