সোনারগাঁয়ের শম্ভুপুরায় সরকারী প্রকল্পের ঘড় নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :
সোনারগাঁয়ের শম্ভুপুরা এলাকায় সরকারী গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে স্বজনপ্রীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানাগেছে, শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বালা চাঁন সরকারের ছেলে আঃ ছালাম সরকার ওরফে বানোডি নিজ সমন্ধীর বউ মৃত জাকিয়া বেগমের নামে উপজেলা প্রশাসনের কাছে কাগজপত্র জমা দেন।
অসহায় মানুষের নামে ঘর পেতে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে পরবর্তীতে ৭নং ওয়ার্ডে ঘর বরাদ্ধ হওয়ার পর নিজের মেয়ে সীমা আক্তারের (২৬) নামে ৮নং ওয়ার্ডের অন্য একটি জায়গায় সে ঘড় নির্মাণ করা হয়।
সীমা শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল সেন্টারে কাজ করেন বিধায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আঃ রউফের সহায়তায় সেই সরকারী ঘরটি জালিয়াতি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
৭নং ওয়ার্ডের ঘরটি ৮নং ওয়ার্ডের অন্য একজনের মালিকাধীন জমি দখল করতে চেয়েছেন আঃ ছালাম সরকার ওরফে বানোডি ও তার মেয়ে সীমা আক্তার।
যেই জায়গাটিতে সরকারি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে সেই জমির মালিক ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে মনিরুজ্জামান।
জমির মালিক মনিরুজ্জামান জানান, পৈত্রিকসূত্রে এই জমির মালিক আমি। আমার জায়গার আঃ ছালাম সরকার ওরফে বানোডি ও তার মেয়ে সীমা ভূয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে আমার জমিটি দখল করে রেখেছে। সরকারী ঘর হওয়ায় আমি এই ঘর অপসারণও করতে পারছি।
বিষয়টি জানিয়ে আমি উপজেলা শ্রশাসন ও থানায় অভিযোগ করেও কোন ফলাফল না পেয়ে হতাশ হয়েছি।
সরেজমিনে দেখা যায়, সরকার ঘোষিত ঘরহীন মানুষের জন্য ‘জমি আছে ঘর নেই যার, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ’ প্রকল্পের দেয়া ঘরে আঃ ছালাম সরকার ওরফে বানোড়ির ছোট মেয়ে লিজার (২২) ফার্নিচার ও অন্যান্য আসবাবপত্র রাখা আছে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, পাশের জমিতে তার নিজের গরুর ফার্ম থাকায় এই জমিটি নেয়ার ব্যাপারে দীর্ঘদিন যাবত চেষ্টা করে আসছে। ঘরটি তার সমন্ধীর বউ জাকিয়া বেগমের নামে সরকার বরাদ্ধ দেয়ার কথা স্বীকার করে আঃ ছালাম সরকার ওরফে বানোডি জানান, আমার সাথে মনিরুজ্জামানের জায়গা নিয়ে শত্রুতা থাকায় সে আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। প্রকৃত পক্ষে ঐ জমির মালিক আমি। অসহায় পরিবার হওয়ায় আমি জাকিয়া ও তার পরিবারকে ঐ জায়গা টি থাকতে দিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ সাজেদ আলী বলেন, আমার ওয়ার্ডে ঘর বরাদ্দ পাওয়ার পর কিভাবে সেই ঘর ৮নং ওয়ার্ডে গেলো তা আমি জানি না। তবে আঃ ছালাম সরকারের মেয়ে সীমা চেয়ারম্যানের চাকরী করেন। তাই জালিয়াতির বিষয়টি সম্পূর্ণ চেয়ারম্যান আঃ রউফই বলতে পারবেন।